নয়াদিল্লি ও চেন্নাই, ১৩ জানুয়ারি (হি.স.): এয়ারসেল ম্যাক্সিস আর্থিক তছরুপ মামলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পালানিয়াপ্পন চিদম্বরমের ছেলে কার্তি চিদম্বরমের দিল্লি ও চেন্নাইয়ের বাসভবনে তল্লাশি চালালেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকরা| শনিবার সকাল থেকে দিল্লি ও চেন্নাইয়ে চিদম্বরম পুত্র কার্তির বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালান ইডি-র আধিকারিকরা| এছাড়াও দিল্লি ও চেন্নাইয়ে কার্তির একাধিক অফিসেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়|
গত বৃহস্পতিবার এয়ারসেল ম্যাক্সিস আর্থিক নয়ছয় মামলায় পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তির বিরুদ্ধে নতুন করে সমন জারি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)| তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১৬ জানুয়ারি ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য| বিরোধীদের মতে, এদিনের ইডি-র তল্লাশি অভিযান আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত|
কার্তির দিল্লি ও চেন্নাইয়ের বাসভবনে ইডি-র তল্লাশি অভিযান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কার্তির বাবা পি চিদম্বরম বলেছেন, ‘সিবিআই অথবা অন্য কোনও সংস্থা দ্বারা অপরাধ সম্পর্কিত কোনও এফআইআর নেই| চেন্নাইয়ের বাড়িতে তাঁরা আবার তল্লাশি চালাবেন, এমনটা আমি ভেবেই রেখেছিলাম| কিন্তু, কমেডির মতো তাঁরা জোড় বাঘ (দিল্লি)-এ তল্লাশি চালিয়েছেন|’ কার্তির দিল্লি ও চেন্নাইয়ের বাসভবনে ইডি-র তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরেজওয়ালা বলেছেন, ‘বিরোধীদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রতিদিনই ইডি এবং সিবিআইকে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকার|’
ইউপিএ জমানায় নিয়মের বাইরে গিয়ে একটি মিডিয়া সংস্থা ও তার মালিক পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কার্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রক ওই সংস্থাকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। সে সময় কার্তির বাবা পি চিদম্বরম ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই সুবাদেই প্রভাব খাটিয়ে কার্তি তাঁদের ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বিনিময়ে তিনি ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পান। সিবিআই যখন ওই দুর্নীতির তদন্ত করছে, তখন দুর্নীতি থেকে পাওয়া টাকা কোথায় গেল, তার তদন্ত করছে ইডি।