নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জানুয়ারি৷৷ চাকুরীচ্যুত ১০৩২৩ জন শিক্ষকের ভাগ্য নির্ধারণের ফাইল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ মঙ্গলবার বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ জানান, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের জীবন জীবীকার প্রশ্ণে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল তাদের এককালিন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হোক৷
সুদীপবাবু জানান, শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ এর ধারা ২৩ এর উপধারা ১ এবং ২ মোতাবেক কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ তাতে যে রাজ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে সেই রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ ক্ষমতাবলে বিএড কিংবা প্রয়োজনীয় নম্বর যে শিক্ষকদের নেই তাদের চাকুরীতে বহাল রাখার জন্য ছাড় দিতে পারে৷ কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে ঐ বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরীতে বহাল রাখার পথ খুঁজে বের করার আবেদন জানানো হয়েছিল৷ সে মোতাবেক কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট ফাইল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে৷ চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরীতে বহাল রাখার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে আইন মন্ত্রকের কাছে মতামত জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন ন্ত্রক৷
সুদীপবাবু জানান, আইন মন্ত্রকের তরফে এবিষয়ে সবুজ সংকেত মিললে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরীতে বহাল রাখার বিষয়ে আইনের সংশোধনী আনবে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই সংশোধনীর অনুমোদন মিললে তা সংসদে পেশ করা হবে৷
এই বিষয়ে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহার প্রতিক্রিয়া, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরী বহালে ছাড় দিতে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ নিলে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাব৷ তিনি বলেন, শিক্ষকদের চাকুরী নিয়ে যখন মামলা হয়েছিল তখন শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে এককালীন ছাড় দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে৷ কিন্তু, তখন কেন্দ্রীয় সরকার ছাড় দেয়নি৷ একন যদি ছাড় দিতে পারে তাহলে নিশ্চয়ই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানব৷ কারণ, শিক্ষার অধিকার আইন থেকে চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের আওতার বাইরে রাখার দাবী অনেক আগে থেকেই জানিয়ে আসছে বামফ্রন্ট সরকার৷