ডম্বুর জলপ্রপাতে পড়ে যাওয়া গাড়িসহ দই শিশুর হদিশ নেই, উদ্ধার কার্য চলছে, আজ কলকাতা ও গুয়াহাটি থেকে আসছে বিশেষজ্ঞ টিম

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জানুয়ারী৷৷ ডম্বুর জলপ্রপাতে শনিবার সন্ধ্যায় পড়ে যাওয়া গাড়ি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি দুর্যোগ মোকাবিলা দল৷ প্রচুর সংখ্যক পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধারের কাজ তদারকি করছে৷ এদিকে, এসডিআরএফ এবং টিএসআর গাড়িটি উদ্ধার করতে পারেনি৷ তারপর সেনা বাহিনী ও আসাম রাইফেলসের জওয়ানদের নামানো হয়েছে৷ তারাও কোন সফলতা পায়নি৷ এনডিআরএফের আইজি জানিয়েছেন, কলকাতা এবং গুয়াহাটি থেকে বিশেষজ্ঞ টিম আনা হচ্ছে৷ আগামীকাল সকালে বিশেষজ্ঞরা এখানে আসবেন৷
রবিবার সকালে নতুনবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছেন, তীর্থমুখ থেকে ফেরার সময় মন্দিরঘাটে কিছুক্ষণের জন্য যাত্রী বিরতি করে তিনটি ছোট গাড়ি৷ পরিবার পরিজনদের নিয়ে তাঁরা তীর্থমুখে গিয়েছিলেন৷ যাত্রা বিরতির সময় অমরপুরের শঙ্কর হাজরার মেয়ে আরাধ্যা হাজরা (৬) এবং ভুট্টো রাহার ছেলে কুশল রাহা (৪) গাড়িতে বসেই খেলাধুলা করছিল৷ আচমকা গাড়িটি ঢালু পথ থেকে গড়িয়ে ডম্বুর জলপ্রপাতে গিয়ে পড়ে৷ কমপক্ষে ৪৫ ফুট নীচে গিয়ে পড়ে গাড়িটি৷ পরিবারের চোখের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে৷ ঘটনা চাক্ষুষ করে শিশুদের মা-বাবারা মূর্ছিত হয়ে পড়েন৷ স্থানীয় জনগণ পুলিশকে খবর দেন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল৷ শিশুদের মা-বাবাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ তাদের এখনও জ্ঞান ফিরেনি৷ মায়ের অবস্থা সংকটজনক৷ গাড়ি উদ্ধারের জন্য রাতভর চেষ্টা চালানো হয়েছে৷ উভয় শিশু এখনও গাড়ির ভিতরে রয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷ কিন্তু, গাড়িটি না তোলা পর্যন্ত তাদের দেহ বের করাও কঠিন হয়ে পড়ছে এখন ডুবুরি নামিয়ে গভীর জলের নীচে গাড়িটির দরজা খুলে শিশুদের বের করার চেষ্টা চলছে৷ তবে, এ কাজে সফাল্য কতক্ষণে আসবে তা বলা মুশকিল বলে উদ্ধারকারী দলের ধারণা৷ কারণ গাড়িটি অনেক গভীরে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্যে তদারকি করছেন স্থানীয় এসডিপিএ সৌভিক দে৷ এদিকে, এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর সংখ্যায় লোকজন ঐ এলাকায় ভিড় করেছে সকাল থেকেই৷ গোটা মহকুমায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *