নয়াদিল্লি, ১ জানুয়ারি (হি.স.): প্রখর শৈত্যপ্রবাহ ও তার সঙ্গে বেড়ে চলা ঘন কুয়াশা দিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানাল রাজধানী দিল্লিসহ গোটা উত্তর ভারত । সোমবার বছরের শুরুতে প্রখর শৈত্যপ্রবাহর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা ঘন কুয়াশার দাপটে জনজীবন বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লিসহ গোটা উত্তর ভারতে।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিল্লিগামী ও দিল্লির অভিমুখে আসা প্রায় ৩৫০ টি বিমানের মধ্যে কিছু বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং বাকিগুলির সময়সূচী পরিবর্তন করা হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে দাবি করা হয়েছে ঘন কুয়াশার জেরে কম দৃশ্যমানতা তৈরি হয়েছে। দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারেরও কম। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে চরমে উঠেছ যাত্রীদের ভোগান্তি। বিমান পরিষেবা পাশাপাশি বিপর্যস্ত হয়েছে দিল্লি রেল পরিষেবা এদিন প্রায় ১৫ টি ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দেরিতে চলছে ৫৬ টি ট্রেন এবং ২০ টি ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে বছরের শুরুতে কর্মব্যস্ত দিনে বহু মানুষ আটকে পড়ে। বহু মানুষের গন্তব্যে পৌছতে দেরি হয়।
এদিন দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আসে পাশে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষণও বেড়ে চলেছে রাজধানী দিল্লিতে এদিন দিল্লিতে শাদিপুরে পলিউশন ইণ্ডেক্সে দূষণের মাত্রা ছিল ৩৩২, সিরি ফোর্ট এলাকায় মাইনাস ৩৩৮, দারকায় মাইনাস ২৫৭।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ, কানপুর, ঝাঁসি, আগ্রা, বারানসিতে শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বিহারে শৈত্যপ্রবাহের জেরে নিহত হয়েছে ১২ জনের বেশি মানুষ। জম্মু ও কাশ্মীরে লেহ এবং লাদাখে রবিবার রাতে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে আগামী কয়েকদিনও পরিস্থিতি একই থাকবে।