পাহাড় তলিয়ে যাওয়া এলাকার পরিবার আতঙ্কে কাটাচ্ছেন, নয়দিন পর ঘটনাস্থলে গেলেন এডিএম

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১ নভেম্বর৷৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনকে ঘুমে রেখে ঘটনার ৯দিন পর খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক

তেলিয়ামুড়া মহকুমার হাজরাপাড়ায় বসে যাওয়া পাহাড়৷ বুধবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

পরিদর্শন করলেন হাজরা পাড়ার পাহাড় তলিয়ে যাওয়ার ঘটনাস্থল৷ এক কথায় বিভিন্ন মিডিয়ায় ঐ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরলেও ঐ এলাকার গিরিবাসীরা আতঙ্কে দিন গুজরান করলেও শেষে ঘুম ভাঙ্গে খোয়াই জেলা শাসকের৷ উনার আদেশেই আজ তিনটায় অতিরিক্ত জেলা শাসক হীরেন্দ্র দেববর্মা ঘটনাস্থলে আসলেও তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসন এর তরফ থেকে কোন প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি ঐ এলাকায়৷ একাই অতিরিক্ত জেলা শাসক পরিদর্শন শেষে বাড়ীর রান্না ঘরের বাজারটা সেরে নিলেন ঐ এলাকা থেকে৷ অপরদিকে ঐ এলাকার বসবাসকারীরা দরিদ্র গিরিবাসীরা দিন দিন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে৷ কারন প্রতিদিনই পাহাড়ের বিভিন্ন অংশ নতুন করে ভাঙ্গছে ও তলিয়ে যাচ্ছে৷ এমন পাহাড় ভাঙ্গায় এলাকা থেকে বাড়ী ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে কিছু পরিবার আতঙ্কে৷ অপরদিকে আরো লক্ষ্য করা যায় পাহাড় ভাঙ্গার ঘটনা নিচ্ছে অন্যরূপ৷ প্রতিদিনই হাজার হাজার লোক সমাগম হচ্ছে ঐ এলাকায়৷ চলছে অন্ধবিশ্বাসে পূজা পাবন৷ বসে গেছে দোকানিরা নিজেদের উৎপাদিত সব্জি নিয়ে৷ আর সাধু সন্নরা তো সেখানে রাত গুজরান করচে নিজেদের পূজা পাবন নিয়ে৷  উল্লেখ্য, ২৩ শে অক্টোবর মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন কাকরাছড়া এডিসি ভিলেজের হাজারা হাজার এক বিশালাকার পাহাড় রাত্র ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ বিকট শব্দে ভূ-গর্ভে তলিয়ে যায়৷ পর দিন থেকে সারা রাজ্যে এই খবর ছরিয়ে পরতেই লোক সমাগম হতে থাকে৷ এলাকাবাসীর ও নতুন ঘটনায় রাতের ঘুম কেড়ে নেয়৷ কিন্তু ঘুম ভাঙ্গে নি তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসন থেকে যুক্তিবাদী মঞ্চের৷ ঘটনার ৯ দিন কেটে গেলে আজ খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক  একাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন৷ এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান যে আজ তিনি এসেছেন পরিদর্শনে, যা দেখে গেছেন তা প্রশাসনিক উচ্চস্তরে কথা বলবেন৷ এমন কি আগামী দিনে ঘটনার তদন্তে ভূ-তত্ত্ববিদদের সাথেও কথা বলবে প্রশাসন৷ তবে তিনি দাবী করেন পাড়ারের মাটি বেশীর ভাগ বালু মিশ্রিত তাই তলিয়ে যাচ্ছে৷ তবে পূজা পার্বনের বিষয়ে কোন প্রশ্ণের উত্তর দিতে নারাজ৷