BRAKING NEWS

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ উড়িয়ে দিল্লিতে ফাটল শব্দবাজি, পুড়ল আতশবাজিও

নয়াদিল্লি, ২০ অক্টোবর (হি.স.) : শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখাল দিল্লিবাসি। দেদার ফাটল শব্দবাজি–সহ একাধিক আতশবাজি ।যার ফলে দূষণের চাদরে ঢাকল দিল্লি | দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওয়াজিরপুরে দূষণের মাত্রা সবথেকে বেশি৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আনন্দ বিহার৷
আদালতের নির্দেশ ছিল দীপাবলি পালন হোক আনন্দে। শব্দবাজি পুড়িয়ে আবহাওয়া দূষণের মাধ্যমে নয়। কিন্তু সেই নির্দেশকেই যেন বুড়ো আঙুল দেখাল দিল্লিবাসি। দেদার ফাটল শব্দবাজি–সহ একাধিক আতশবাজি। প্রবল দূষিত হল বাতাস। রাত ১১টার পর থেকে দূষণের পরিমান বেড়েছে। দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকা গুরগাঁও, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের বাতাসের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এছাড়াও আনন্দবিহার, শাহদরা, ওয়াজিরপুর, অশোক বিহার, শ্রীনিবাসপুরির মত এলাকায় অনেক রাত পর্যন্ত আতসবাজির পর্ব চলেছে৷ ফলে বেড়েছে বাতাসে দূষণ।
দীপাবলিতে দিল্লির বাতাস দূষিত হওয়াক পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতো। দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে দীপাবলির পর বেশিরভাগ জায়গায় বায়ু গুণমাণ সূচক (একিউআই) ৪০০ ওপরে পৌঁছয়। ৪০০-র ওপরে একিউআই সূচককে গুরুতর বলা হয়। দিল্লির পঞ্জাব বাগ ও আনন্দ বিহার এলাকায় এই সূচক সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছয়। শুক্রবার সকালে একিউআই ছিল ৯৯৯। আরকে পুরম এলাকায় এই সূচক ছিল ৯৭৮। শুধুমাত্র পূর্ব দিল্লির দিলশাদ এলাকায় একিউআই ছিল সবচেয়ে কম-২২১। দিল্লির তুলনায় এনসিআর অঞ্চলে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কম। সেখানে একিউআই ঘোরাফেরা করছে ৪০০-৪২০-র মধ্যে।
এর আগে দিল্লি কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি) দাবি করেছিল যে, ২০১৬-র দীপাবলির সময়ের তুলনায় এবার রাজধানী দূষণের পরিমাণ কম।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে পটকা–আতসবাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ আর এরপরে আতসবাজি বিক্রেতারা সেই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতাও করে৷ পূর্ব দিল্লি থেকে দক্ষিণ দিল্লি পর্যন্ত আতসবাজি–পটকার শব্দ শোনা গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *