BRAKING NEWS

রবিবার রাজ্যের সাতটি স্থান থেকে সিপিএম-এর পদযাত্রা

কলকাতা, ২০ অক্টোবর (হি. স.): সরকারের নানা ধরণের কাজের প্রতিবাদে রবিবার সাতটি স্থান থেকে বার হবে সিপিএম-এর পদযাত্রা৷ উত্তরবঙ্গের দুটি পদযাত্রা যাবে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৷ দক্ষিণবঙ্গের নানা অংশের পাঁচটি পদযাত্রা আসবে কলকাতায়৷
দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা শ্যামল চক্রবর্তী ফেসবুকে এ খবর জানিয়ে লিখেছেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত পদযাত্রাগুলি ১২ দিনের মধ্যে যথাসম্ভব জনবহুল এলাকা অতিক্রম করবে। এর মধ্যে যত শহর পড়বে তা থেকে অনেক গুন বেশী গ্রাম পড়বে।
তবে যত কলকাতার কাছাকাছি আসবে তত শহরের সংখ্যা বাড়বে , জনবসতির নগরায়নের কারণে।হাওড়া , হুগলি , দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় এসে মূল পদযাত্রা শহর কেন্দ্রীক হবেই।“ তিনি জানিয়েছেন, বিশাল প্রস্তুতি নিয়ে হবে পদযাত্রা| শুরু হতে যাচ্ছে ২২ অক্টোবর, ৭ টি স্থান থেকে।
উত্তরবঙ্গে মিছিল বার হবে শিতলকুচি/ দিনহাটা এবং আলিপুরদুয়ার থেকে৷ এরা যাবে শিলিগুড়ি পর্যন্ত। দক্ষিনবঙ্গের ৫টা মূল পদযাত্রা কলকাতা আসবে ফারাক্কা, ঝাডগ্রাম , পুরুলিয়া, আসানসোল ও সিউডি থেকে।
ঠিক কি কি দাবিতে, বা সরকারের কোন কোন কাজের সমালোচনায় এই পদযাত্রা, তার উল্লেখ করেননি শ্যামলবাবু| তবে, তাঁর কথায়, “কোনও কোনও কমরেড বলছেন গ্রাম দিয়ে নাকি শহর ঘেরা আমাদের নীতি। না কমরেড। ওটা আমাদের নীতি নয়। ওটা ছিল চীন বিপ্লবের রণ কৌশল। আমাদের দেশের নকশাল পন্থীরা চীন বিপ্লবের নকল করে ঐ শ্লোগান দিয়েছিল। কিন্ত প্রতিটি দেশের বিপ্লবের রণনীতি ও রণকৌশল সেই দেশের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে নির্ধারণ করতে হয়। বিপ্লব অন্য দেশের নকল করে হয় না। চীনে শাসকরা শহরে কমিউনিষ্টদের কচুকাটা করেছিল। তাই বাধ্য হয়ে কমিউনিষ্টরা গ্রামে চলে গিয়ে ঐ শ্লোগান দিয়েছিল। ভারতে শহর গুলিতে আমাদের খানিকটা শক্তি আছে। শহর গুলো শত্রুর হাতে ছেড়ে দিয়ে আমরা চলে যাব কেন ? নকশালরাও এখন আর এই শ্লোগান দেয়না।“
পদযাত্রার পথ-নির্বাচনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শ্যামলবাবু জানিয়েছেন, “বনগা, বসিরহাট ঘুরে আসতে হলে আরও ৭দিন অতিরিক্ত প্রয়োজন। অত সময় পাওয়া গেল না। তবে আরও অনেক পদযাত্রা সারা রাজ্য ব্যাপী হবে। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া এরকম আরও কয়েকটি জেলায় ২২ তারিখেই পদযাত্রা শুরু হয়ে যাবে। আজকের পরিস্থিতিতে প্রতিটি পদযাত্রা যথেষ্ট গুরুত্ব পূর্ণ।“
সব শেষে লিখেছেন, “দীপাবলী ও ভাই ফোঁটা ভালভাবে কাটান। কিন্ত পদযাত্রার প্রস্তুতিতে নিশ্চয়ই ঘাটতি থাকবে না। আমার ফেসবুকিয় বোনদের ভ্রাতৃদ্বতীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভাই ফোঁটা — এমন মন কেডে নেওয়া উৎসব আর হয় না। লাল পতাকা হাতে থাকলে দেখা হবে শিলিগুড়ি , কলকাতার জনারণ্যে।“

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *