BRAKING NEWS

পৃথক স্থানে মহিলা ও শিশুসহ চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া/ উদয়পুর/চড়িলাম, ১৬ অক্টোবর৷৷ রাজ্যের পৃথক স্থানে শিশু, মহিলা ও কিশোরী সহ চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ ঘটনাগুলির ঘটেছে সিপাহীজলা, দক্ষিণ জেলা ও গোমতী জেলায়৷ প্রতিটি ঘটনারই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ বিলোনীয়ায় গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে৷ অন্যদিকে উদয়পুরে ঠাকুর ঘরে কিশোরীর ফাঁসিতে আত্মহত্যা করল৷ তাছাড়া বিশালগড়ে পুকুরের জলে উদ্ধার করা হয়েছে শিশুর মৃতদেহ এবং গোমতী নদীর জল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নিখোঁজ ব্যক্তির পঁচাগলা মৃতদেহ৷
সংবাদে প্রকাশ সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতেই ঘরের পিছনে এক মহিলার গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ নিহতের স্বামী স্থানীয় গঙ্গা মা মন্দিরের সেবায়েত৷ বাড়িতে এসে প্রথমে মৃতদেহটি দেখতে পায় ছেলে৷ তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ সংবাদে প্রকাশ, বিলোনীয়া থানার অধীন লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ পাল সোমবার রাত আটটা নাগাদ বাজার থেকে বাড়িতে ফিরেন৷ ঘরের দরজা খোলা ছিল৷ কিন্তু, মাকে ডেকেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এদিক ওদিক খঁুজতে শুরু করেন৷ একসময় দেখতে পান ঘরের পেছনে মা মীরা পালের গলা কাটা মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন৷ আশেপাশের লোকজনও ছুটে আসেন৷ খবর দেওয়া হয় বিলোনীয়া থানায়৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ পুলিশের আশঙ্কা কোন চোরের দল বাড়িতে ঢুকে হাত সাফাই করে যাওয়ার সময় মহিলার গলা কেটে হত্যা করা হয়৷ পুলিশের এই দাবির সত্যতা মিলেছে৷ মৃতার ছেলে জানিয়েছেন তাদের একটি গরু খঁুজে পাওয়া যাচ্ছে না৷
এদিকে, গোমতী জেলার আর কে পুর থানার অধীন মুড়াপাড়া এলাকায় এক কিশোরী নিজ বাড়িতে ঠাকুর ঘরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে৷ তার নাম সম্পা মজুমদার৷ সে জামজুড়ি সুকলে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতে৷ সোমবার বিকাল তিনটা নাগাদ সে ঠাকুর ঘরে পুজা দিতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ পরে বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
তাছাড়া গোমতী জেলার আর কে পুর থানার অধীন বনদোয়ার এলাকায় এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সোমবার৷ মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জিত সিং৷ তিনি গত বিশ্বকর্মা পূজার দিন স্থানীয় শ্মশানঘাটে গিয়েছিলেন মৃতদেহ সৎকারের জন্য৷ নদীতে স্নান করতে গিয়ে তিনি জলে তলিয়ে যান৷ পরে দমকল ও ডুবুরি তল্লাসী চালিয়েও তার কোন হদিশ পায়নি৷ সোমবার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড়শ মিটার দূরে সঞ্জিত সিংয়ের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷
অন্যদিকে, বিশালগড় থানার অধীন পূর্ব গকুলনগর এলাকায় এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবে৷ তার নাম অর্জুন দেবনাথ৷ বয়স সাত বছর৷ বাবার নাম রাখাল দেবনাথ৷ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটি নাগাদ৷ জানা গিয়েছে গকুলনগরস্থিথ সিটিআই এর একটি পুকুরে অর্জুনের মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় জনগণ৷ তারপর এনডিআরএফ এর কর্মীরা শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ শিশুর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন সকাল থেকেই তার হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না৷ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *