পাটনা, ১১ অক্টোবর (হি.স.) : খুব শীঘ্রই রাহুল গান্ধী হতে চলেছেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি। এই নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল বিহার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। সেই বৈঠকে অপ্রত্যাশিত ভাবেই কংগ্রেসের সভায় শোনা গেল মোদী বন্দনা। যার জেরে চরম অস্বস্তিতে বিহার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। উল্লেখ্য, এই একই ধরণের ছবি কয়েক দিন আগেই দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে। বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভায় “জো মোদী সে টকরায়েগা, চুরচুর হো জায়েগা” স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল নেতা। বুধবার খবরে প্রকাশ, রাজ্য নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল বিহার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব জেলার সভাপতি, ব্লক সভাপতি, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং বিভিন্ন মনোনীত প্রতিনিধিরা। সভার মাঝেই বর্তমান রাজ্য সভাপতি কাউকাব কাদরি এবং প্রাক্তন সভাপতি অশোক চৌধুরী বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বচসা ক্রমে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এরপরেই উপস্থিত দলীয় কর্মীদের একাংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে স্লোগান দিতে শুরু করে দেয়। চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ।’ অনেকে আবার শুধু ‘মোদী, মোদী’ স্লোগান দিতে থাকে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অশোক চৌধুরীর সমর্থকেরা নরেন্দ্র মোদীর নামে স্লোগান দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। কিন্তু তিনি বা তাঁর অনুগামীরা কেউ দল বিরোধী স্লোগান দেয়নি বলে জানিয়েছেন অশোক চৌধুরী। তাঁর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।” চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাঝে হাতাহাতির ঘটনায় জখম হয়েছেন অনেক নেতা-কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর জিতেন্দ্র মিশ্র মারাত্মক জখম হয়েছেন। পুলিশের কাছে তিনি এই বিষয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন।