শিলিগুড়ি, ৬ অক্টোবর (হি.স.) : বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে মারধরের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল দার্জিলিং থানার পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চন্দন থাপা ও সন্টাই গুরুং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সদস্য৷ অাজ শুক্রবার ধৃতদের দার্জিলিং আদালতে তোলা হবে৷ যদিও বিজেপির দাবি, প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে পুলিশ তৎপর নয়৷
বুধবার থেকে পাহাড়ে রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের চকবাজারে রীতিমতো কিল, চড়, ঘুসি মারা হয় তাঁদের৷ দিলীপ ঘোষের সঙ্গী বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন তাঁরা৷ যদিও ঘটনার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদী যাবতীয় দায় বিজেপি-র ঘাড়েই ঠেলে বলেন, ‘‘বিজেপি নেতৃত্বরা তাঁদের প্রতি মুহুর্তের কর্মসূচি জানাননি৷’’
সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সভাপতি প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় বিজেপির সদর দফতর দিল্লিতেও৷ টেলিফোনে দিলীপবাবুর কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজ নেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে৷ এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তৎপর হয় রাজ্য পুলিশ৷ যদিও দিলীপবাবুর দাবি, ‘‘প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর নয়৷ বরং তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে৷’’
দিলীপ ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি
কলকাতা, ৬ অক্টোবর (হি.স.) : বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এদিন মহানগর কলকাতার তিনটি জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার পাহাড়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে একাধিক জায়গায় দেখানো হয় বিক্ষোভ। বের করা হয় প্রতিবাদ মিছিলও। রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ শহরের তিন জায়গায় আলাদাভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে হামলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর মদত রয়েছে। তাঁর নির্দেশ মতোই এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। গুন্ডারা দিলীপ ঘোষ ও অন্য বিজেপি নেতাদের প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ওই গুন্ডাদের যদি গ্রেফতার করা হয় তাহলে তারা মুখ্যমন্ত্রীর নামই বলবে।
তাদের আরও অভিযোগ, এই ঘটনাটি আসলে তৃণমূল সরকারের ষড়যন্ত্র। দিলীপ ঘোষকে হটিয়ে রাজনৈতিক পথ সুগম করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আর সেই কারণেই গতকাল হামলা হলেও সেখানে কোনও পুলিশ আধিকারিককে দেখা যায়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে একগুচ্ছ মিথ্যা বলেছেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার। দিলীপ ঘোষ পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে গিয়েছিলেন, অশান্ত করতে যাননি। আর গুন্ডাবাহিনীর ভয় পেয়ে তিনি কখনওই সেখান থেকে ফিরে আসবেন না।