গুয়াহাটি, ২ অক্টোবর, (হি.স.) : অরুণাচল প্রদেশের ভারত-মায়ানমার সীমান্তে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আসাম রাইফেলস-এর এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জওয়ানের নাম পবীনচন্দ্র বোড়ো। বাড়ি গুয়াহাটির পার্শ্ববর্তী সোনাপুরের ডিগারু এলাকায়। আজ সোমবার বিকেলের দিকে কফিনবন্দি নশ্বর দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে।
এক সূত্রের খবর, গত ২৭ তারিখ অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষা মায়ানমারে এনএসসিএন (কে)-এর একটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডো এবং আসাম রাইফেলস। ওই হামলাকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তিনিও যোগদান করেছিলেন। কিন্তু জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের সময় দুর্ভাগ্যবশত পাহাড় থেকে নীচে নদীতে পড়ে যান পবীন্দ্রচন্দ্র। সঙ্গে সঙ্গে একদল সেনা জওয়ান তাঁকে উদ্ধার করতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে দু-দিন পর বোড়োর মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন সেনারা। এর পর যথারীতি সেনা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্তকার্য সম্পন্ন হলে আজ তাঁর বাড়িতে তা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোর প্রায় পৌনে পাঁচটা নাগাদ অরুণাচলের লংডিং সীমান্তঘেঁষা মায়ানমারের প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভিতরে লাংখুবস্তিতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা ও প্যারামিলিটারি আসাম রাইফেলস। সেনা-হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিরাও পালটা আক্রমণ চালায়। টানা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা দু পক্ষে গোলাগুলি চলে। এতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি মারা যাওয়ার পাশাপাশি বহু ঘায়েল হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।