নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বিতর্কের অবসান! শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকলে ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আবারও হচ্ছেন মানিক সরকার৷ তবে, প্রার্থী তালিকায় এবার অনেক নতুন মুখ থাকবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে৷ এরই সাথে সিপিএম কেন্দ্রীয়

কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাগজে পত্রে যাই থাকুক, সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন প্রার্থীদের আবারও নির্বাচনে দাঁড় করাবে সিপিএম৷ সেক্ষেত্রে ২/৩ বারের অধিক সংসদীয় পদে থাকা যাবে না, সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির এই নির্দেশ মানবে না দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি৷ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কোন সংশয় না রেখে সমস্ত বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর৷
তাঁর কথায়, দলের গঠনতন্ত্রে এমন কোথাও লেখা নেই তিনবারের বেশি সংসদীয় পদে কেউ দাঁড়াতে পারবেন না৷ ১৯৬৪ সালে সিপিএম গঠিত হওয়ার পর থেকে দুইবারের বেশি কাউকেই রাজ্যসভাতে পাঠানো হয়নি৷ কিন্তু, বিধানসভা কিংবা লোকসভার ক্ষেত্রে সেই নীতি মানা হয় না৷ বিজনবাবু বলেন, ৯০-এর দশকে দলের শুদ্ধিকরণের কাজ যখন শুরু হয় তখন কেন্দ্রীয় কমিটি প্রস্তাব দিয়েছিল ২/৩ বারের বেশি সংসদীয় পদে কাউকে পাঠানো না হউক৷
বিজন ধর কেন্দ্রীয় কমিটির এই প্রস্তাবের যুক্তি হিসেবে বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সংসদীয় পদে থাকলে গণআন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকা যায় না৷ কারণ, দীর্ঘদিন সংসদীয় পদে থাকলে অভ্যাসের মধ্যেও তারতম্য ঘটে৷ তাতে সংসদীয় পদের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়ে যায়৷ তাই, মোহ কাটাতেই ২/৩ বারের বেশি কাউকেই সংসদীয় পদে পাঠাতে চায় না দলের কেন্দ্রীয় কমিটি৷ বিজনবাবু বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির এই প্রস্তাব অধিকাংশ সময়ই মানে না রাজ্য কমিটি৷ তাঁর বক্তব্য, সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতার উপর নির্ভর করবে নির্বাচনে প্রার্থী কে হবেন৷ সেক্ষেত্রে কাগজেপত্রে যাই থাকুক, মানবে না দল৷ তাঁর কথায়, ২০১৮ নির্বাচনে শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকলে বামেদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আবারও হচ্ছেন মানিক সরকার৷
তাতে প্রশ্ণ উঠেছে, রাজ্যে সিপিএম’র নতুন মুখ উঠে আসছে না কেন৷ নবীণ প্রজন্মের কোন বলিষ্ঠ নেতা তৈরি হচ্ছে না, নাকি নবীণ প্রজন্ম সিপিএমের ব্যানারে রাজনীতির মুলস্রোতে আসতে চাইছেন না৷ এর জবাবে বিজন ধরের বক্তব্য, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা নবীণ-প্রবীণ উভয়ের সমন্বয়ে তৈরি হবে৷ প্রবীণদের দক্ষতা এবং নবীণদের উদ্যমতাকে ভর করেই বামেরা নির্বাচনে লড়াই করবে৷ সেক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী তালিকায় অনেক নতুন মুখ ঠাঁই পাবেন৷ তাতে, পুরনোদের মধ্যে অনেককেই ছাটাইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে৷

