ঝিয়াম, ৪ সেপ্ঢেম্বর (হিঃস)৷৷ ডোকলামের তিক্ততা এখন অতীত সেটা বুঝিয়ে দিল ভারত এবং চিন৷ নবম ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/09/l20170904112902-300x206.jpg)
আরও বেশি কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিল ভারত ও চিন৷ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছে ব্রিকস মঞ্চ৷ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং বৈঠক করবেন৷
চিনের ঝিয়ামে পৌঁছানোর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং৷ এর জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিংকে ধন্যবাদ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ব্রিকসের প্লেনারি সেশনের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী চিনকে উদ্দেশ্য করে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দেন৷ তিনি বলেন যে পাঁচটি দেশের পরিস্থিতি ও প্রেক্ষিত আলাদা হলেও লক্ষ্য একটাই থাকা উচিত তা হল উন্নয়ন৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী চিনকে আহ্বান করে বলেন যে সংযোগ ও সমঝোতা আরও বেশি গভীর হওয়া উচিত৷ পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ প্রশ্ণে ভারতের দাবিকেও মান্যতা দিল ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো৷ ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত পাঁচ রাষ্ট্রের যৌথ বিবৃতিতে জঙ্গি সংগঠনগুলো বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা করা হয়েছে৷ এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে হাক্কানি নেটওয়ার্ক, লস্কর ই তৈবা, জৈশি ই মহম্মদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হবে৷ উল্লেখ্য গতবার গোয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্ণে যৌথ বিবৃতি দিতে চেয়েছিল ভারত৷ কিন্তু সেবার চিন ও রাশিয়ার চাপে তা দিতে পারেনি ভারত৷ অন্যদিকে, উন্নয়নের প্রশ্ণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন যে স্মার্ট সিটি, নগরোন্নয়ন, বিপর্যয় মোকাবিলা জন্য পাঁচ রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে৷ এই ফাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ এছাড়াও ব্রিকস সম্মেলনে লিঙ্গ সমতা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, খাদ্য, চিকিৎসা নিয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান মোদী৷ অন্যদিকে চিনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে কোনে সমস্যা বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য কূটনীতির মাধ্যমেই তা সমাধান করতে হবে বলে তিনি জানান৷
এদিন ব্রিকসের মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় হয়েছে বলে মানছে বিভিন্ন মহল৷ শুধু তাই নয়, ভারত ও চিন দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্কে উষ্ণতা কাটিয়ে উঠছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷ ডোকালাম ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে যে তিক্ততা দেখা দিয়েছিল, ব্রিকসের মঞ্চে সম্পর্কে শৈত্যতা এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ চিনের সাথে কূটনৈতিক ভাবে সম্পর্ক মজবুত না করা গেলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারত শক্তিশালী অবস্থানে যেতে পারবে না৷ চিন বরাবরই পাকিস্তান ইস্যুতে নরম মনোভাব পোষণ করে থাকে৷ ফলে, রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে অনেক দূর এগিয়েও ভারত পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে পারছে না৷ সম্প্রতি রাশিয়ার সাথেও ভারতের সম্পর্ক কিছুটা নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছে৷ ব্রিকসের মঞ্চে এবার যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাতে আগামীদিনে বিভিন্ন বিষয় সহ বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে ভারতের হাতে সফলতা আসতে পারে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷