চেন্নাই, ২ সেপ্টেম্বর (হি.স) : অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার (যার পোশাকি নাম নিট) বিরুদ্ধে সরব হওয়া দলিত ছাত্রী ১৭ বয়সী এস অনিতার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল শুক্রবার তার বাড়ি থেকে। তার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ না পেয়ে অবসাদে আত্মহত্যা করে এই দলিত ছাত্রী।
তামিল নাডুর আরিয়ালী জেলাড় বাসিন্দা ঠিকা শ্রমিকের মেয়ে এস অনিতা তামিল নাডুর বোর্ড পরীক্ষায় ১২০০ মধ্যে ১১৭৬ নম্বর পেয়ে পাশ করেছিল। আগের নিয়ম বলবত থাকলে এই নম্বরেই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেত অনিতা। কিন্তু সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভাল ফল করতে ব্যর্থ হয় অনিতা। পরে সে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানায় যে অভিন্ন সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা খারিজ করে দিতে।
তার এই অকাল আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা রজনীকান্ত। এক টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে দুঃখ ও যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে অনিতার জীবনের শেষ কয়েকটা দিন কাটিয়েছে তা তিনি উপলব্ধি করতে পারছেন। শোক প্রকাশ করেছেন কমল হাসানও।
উল্লেখ্য গত বছর সুপ্রিম কোর্ট দেশের সব মেডিক্যাল কলেজের কে জানায় যে অভিন্ন সর্বভারতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে। তখন তামিল নাডুর সরকার থেকে জানানো হয় নিট বা অভিন্ন সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা সিবিএসইর সিলেবাস অনুসারে হয়। তাই সিবিএসই বোর্ডে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীরা এগিয়ে থাকে অন্যান্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের তুলনায়। অন্যদিকে রাজ্যের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষদের কাছে নিজের ছেলেমেয়েদের দামি কোচিং সেন্টারে পড়ানোর আর্থিক ক্ষমতা থাকে না। তাই এই পরীক্ষায় তারা বারেবারে পিছিয়ে পরে। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের অনুরোধে গতবছর ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু এবছর তারা ছাড় দিতে অস্বীকার করে আদালত। তামিল নাডু সরকার বিশেষ অধ্যাদেশ পাশ করিয়ে নিটকে আটকাতে পারত। কিন্তু আদালতে তারা নিটের পক্ষে কথা বলে আর তাই সুপ্রিম কোর্টও জানায় যে তামিল নাডু যেন নিট পরীক্ষা কার্যকর করে। এই মৃত্যু তে গভীর শোক প্রকাশ করে অভিনেতা কমল হাসান জানান যে আমাদের যুক্তি হয়তো দুর্বল হয়ে পরেছিল।আদালতে আমাদের যুক্তিকে আরও বেশি শক্তিশালী করা উচিত ছিল।