নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৩০ আগস্ট৷৷ উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি রেল স্টেশনে তীব্র চাঞ্চল্য৷ এক অজ্ঞাত পরিচয়ের মানসীক ভারসাম্যহীন

মহিলাকে কেন্দ্র করে এই চাঞ্চল্য৷ স্থানীয় এলাকাবাসীর চেষ্টায় মানসীকভাবে ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা ও তার দুই বৎসরের পুত্র সন্তানকে উদ্ধার করে চুরাইবাড়ি থানার কাছে হস্তান্তর৷ এই ঘটনা চুরাইবাড়ি রেলস্টেশন এলাকায়৷ সন্ধ্যায় রেল স্টেশন সংলগ্ণ এলাকার জনগণ সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ের মানসীক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে ঘুরাফেরা করতে দেখতে পান৷ ঐ মহিলার কোলে একটি ছোট শিশুও ছিল৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা উলঙ্গ ঐ মহিলাটি কোলের ছোট শিশুকে পাশের একটি নালার জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা চালায়৷ সাথে সাথে প্রত্যক্ষদর্শী ও আশপাশের জনগণ এসে ঐ ছোট দুই বৎসরের ছেলেকে উদ্ধার করে উনাদের কাছে রাখেন৷ এবং স্থানীয় লোকজনরা চাদা তুলে ঐ মহিলার জন্য জামা কাপড় কিনে পরিয়ে দেন৷ তারপর উনারা বোঝিয়ে সোজিয়ে খানিকটা সময় রাখলেও যত রাত বাড়ে তত শুরু হয় উৎপাত৷ ঐ মহিলা রেল স্টেশনের একটি স্টিলের খুটিতে উঠে ফাঁসি লাগানোর চেষ্টা চালায়৷ বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে হাত দিয়ে ধরেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়৷ গ্রামবাসীরা বারবার ঐ মহিলাকে বাঁচানোর চেষ্টা চালায়৷ খবর দেওয়া হয় আরপিএফকে৷ কিন্তু চুরাইবাড়ি রেল স্টেশনের আর পি এফ এর কক্ষে মস্ত বড় তালা ঝুলানো৷ খবর দেওয়া হয় স্থানীয় চুরাইবাড়ি থানাকে৷ চুরাইবাড়ি থানা ঘটনাস্থলে এসে উৎপাত করা মানসীক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ও তার ছেলেকে তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয় এবং রেল স্টেশন চত্বরে তাকে পাহারারত অবস্থায় রাখা হয়৷ আজ ঐ মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয় এবং ঐ অজ্ঞাত পরিচয়ের মহিলার বাড়ির ঠিকানা বের করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ এদিকে স্থানীয় জনগনের দাবী ঐ মহিলা পাশ্ববর্তী রাজ্য অসমের বাসিন্দা৷ সে ট্রেনে রাজ্যে প্রবেশ করেছে৷ কেন সে তার পুত্রকে মারতে চাইছে ও সে নিজেও আত্মহত্যা করতে চাইছে তা অবশ্য সম্পূর্ণ রহস্যের মধ্যে আবদ্ধ৷

