জয়পুর, ২০ আগস্ট (হি.স.): একের পর এক মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে রাজস্থানের বানসওয়ারা থেকে। এব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যারা শিশুশ্রমিক এবং পাচার হওয়া শিশুদের নিয়ে কাজ করেন, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
মাসিক ক্রাইম রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কিশোরী মেয়েদের নিখোঁজ এবং অপহরণ হওয়ার ৪৫৬টি কেস নথিবদ্ধ হয়েছে।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে নারীপাচারের দালালরা ভুলিয়ে-ভালিয়ে কিশোরী মেয়েদের পাচার করছে। অনেকক্ষেত্রে দালালদের খপ্পর থে্কে মেয়েটিকে উদ্ধার করা গেলেও অভিভাবকেরা ঘরের মেয়ে আর ঘরে ফেরাতে চাইছেন না। উল্টে ওই মেয়েটিকেই দোষারোপ করছেন তাঁরা।
এমন বেশ কিছু ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে ২২ বছরের যুবক জগমাল জানান, তাঁর ছোটবোন উষা শ্রমিক হিসাবে কাজে যায় গুজরাতে। এরপরে সে রাজস্থানে ফিরে এলে স্থানীয় আবুপাড়া গ্রামের একটি মেলা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। গুজরাতে তাঁর বোনের এক সহকর্মীই বোনকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত মেয়েটির কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
তবে শুধুমাত্র এই একটিই নয়, ধারাবাহিকভাবে এ ধরণের ঘটনা বেড়ে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। যেমন, বানসওয়ারার বোকিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন, দোলের দিন থেকে নিখোঁজ তাঁর ১৫ বছরের মেয়ে শীলা। পুলিশ তদন্তে নেমে যখন এই মেয়েটির হদিশ পায়, তখন সে সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এদিকে বহু মেয়ের এখনও পর্যন্ত কোনও হদিশই পাওয়া যায়নি। স্বেচ্ছাসেবীরা ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন, নিখোঁজ বা অপহৃতা মেয়েদের অবিলম্বে খুঁজে বের করতে হবে। কড়া শাস্তি দিতে হবে অভিযুক্তদের।
