লখনউ, ১৮ অগাস্ট (হি.স.) : গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতালে দফায় দফায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারকে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। এক জনস্বার্থ পিটিশন দায়ের হওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ সরকার ও রাজ্যের মেডিকেল এডুকেশন সংক্রান্ত ডিরেক্টর জেনারেলের বিস্তারিত রির্পোট চাইল অাদালত। এজন্য অাদালত ছয় সপ্তাহ সময় দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অাগামী ৯ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছে আদালত।
জনস্বার্থ পিটিশনটি করেন জনৈক সমাজকর্মী নুতন ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের এপর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপে এটাই স্পষ্ট, তারা শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সত্য আড়াল করে দোষীদের বাঁচাতেই ব্যস্ত। বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি দয়াশঙ্কর তেওয়ারির বেঞ্চ সমাজকর্মী পাশাপাশি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিংহ, মেডিকেল এডুকেশনের কৌঁসুলি সঞ্জয় ভাসিনের বক্তব্যও শোনে। অ্যাডভোকেট জেনারেল জনস্বার্থ পিটিশনের বিরোধিতা করে বলেন, রাজ্য সরকার যা যা করা সম্ভব, সব করেছে, মুখ্যসচিবের পেশ করা রিপোর্টের বয়ানমত তার পক্ষে করা সম্ভব, এমন সব পদক্ষেপই করবে। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে অারও দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷ গোরক্ষপুর কান্ডে হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল একশো৷
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে এনসেফালাইটিস সমেত নানা কারণে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, বিল বকেয়া থাকায় অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়৷অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থাটি দাবি করে অনেকবার বলা সত্ত্বেও তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সদুত্তর না মেলায় বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত৷ এর জেরেই গত সাত দিনে একশো শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
এদিকে পর পর এতগুলি শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা৷মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর পেছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে কি না তা প্রশাসনকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও এক আধিকারিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিরোধীরা সহ বেশ কিছু শিশুর বাবা-মায়ের দাবি, প্রয়োজনের সময় হাসপাতালে অক্সিজেন মেলেনি, তার ফলেই মারা গিয়েছে ওরা। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।