বাঘমা ও বক্সনগরে যান সন্ত্রাসে গুরুতর ঘায়েল ত্রিশজন যাত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর/ বক্সনগর, ১০ আগস্ট৷৷ পৃথক স্থানে যান সন্ত্রাসে গুরুতর ভাবে ঘায়েল হয়েছেন ত্রিশ জন যাত্রী৷ বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে এগারটায় আগরতলা-সাব্রুম জাতীয় সড়কে দ্রুত গতীতে বাক নিতে গিয়ে একটি যাত্রীবাহি বাস দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়ে আহত হয় ১৯ জন সুকল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, টিআর০১এ- ১২৪২ নম্বর একটি যাত্রীবাহী বাস ১৯ জন ছাত্র ছাত্রী ও একজন শিক্ষককে নিয়ে খোয়াই থেকে রওনা হয় মেলাঘর নিরমহলের উদ্দেশ্যে৷ গাড়ীটি খুবই দ্রুত গতীতে চালাছিল অভিযোগ করে বাসের যাত্রী ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক৷ অনেকবার বলা হয়েছিল চালককে ধীর গতিতে গাড়ী চালানোর জন্য৷ কিন্তু চালক কারোর কথাই না শুনে তার মর্জিমতই গাড়ী চালায়৷ তাছাড়া, বাস গাড়ীটি আগরতলা থেকে বিশ্রামগঞ্জ হয়ে মেলাঘর যাওয়ার কথা থাকলেও চালক গাড়ীটি উদয়পুরের উদ্দ্যেশে নিয়ে যায়৷ আর ঠিক বাগমা শালবাগান এলাকায় বাক নিতে গিয়ে দুইটি পাল্টি দিয়ে খাদে পরে যায়৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাগমা ফাঁড়ী পুলিশ, আর কে পুর থানার পুলিশ এবং অগ্ণি নির্বাহক দপ্তরের কর্মীগন ছুটে যায় ঘটনাস্থলে ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার কাজে৷ ১৯ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয় এই যান দুঘটনায়৷ তাদের গোমতী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার পাঠানো হয়৷ এর মধ্যে সমীর দেবনাথের অবস্থা (১৭) খুবই গুরুতর৷ হাসপাতালে প্রথম দিকে ছাত্রছাত্রী কোনো সাহায্য না পেলেও উদয়পুর সংবাদ প্রতিনিধির কাছ থেকে খবর পেয়ে মহকুমা শাসক তার প্রতিনিধি দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবার হাত বাড়িয়ে দেন৷ চালক শচীন্দ্র দাস (৩৪)কে আটক করে আরকে পুর থানার পুলিশ৷ চালক জানায় গাড়ীর সমস্যার কারনেই দুর্ঘটনা হয়৷
এদিকে, আজ সকাল নয়টায় আগরতলা-বক্সনগর সড়কের মানিক্যনগর এলাকায় কমান্ডার জীপ এবং বোলেরু ডিআই গাড়ির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় ১৯ জন৷ এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে৷ জানা যায়, বক্সনগর থেকে যাত্রী নিয়ে টিআর০১-৪৩২৪ নম্বরের কমান্ডার জীপ গাড়িটি আগরতলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে বিপরিত দিক থেকে দ্রুত বেগে ছুটে আসা টিআর০৭এ-১৫৭২ নম্বরের বোলেরু ডিআই গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷ এতে দুই কলেজ ছাত্রী সহ মোট ১৯ জন আহত হয়৷ এদের প্রত্যেককে বক্সনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জিবিতে রেফার করলে ও একজন রোগীর রেফার নিয়ে বিপত্তি দেখা দেয়৷ কেননা, কর্তব্যরত সাংবাদিকরা আহতদের খবর সংগ্রহের জন্য বক্সনগর হাসপাতালে গেলে দেখতে পায় এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কুলুবাড়িস্থিত এক রেফার করার রোগী বিনা চিকিৎসায় বিছানায় পড়ে রয়েছে৷ অভিবাবক কাছে না থাকার তার ব্যাপারে কোন আগ্রহ প্রকাশ করছে না কর্তব্যরত ডাক্তার মাহাবুর রহমান৷ দেখা যায় এখন রেফার করা ইমার্জেন্সি রোগীকে কোনো রকমের ব্যবস্থা না করে দিয়ে তিনি হাসপাতাল চত্বরে নিজের চেম্বারে বসে রোগী দেখার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ যেই বিষয়টি সাংবাদিকদের ক্যামেরার বন্দী রয়েছে৷ তবে এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ডাঃ মাহাবুর রহমান জানান, হাসপাতালের মধ্যে দুটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক রয়েছে একজন৷ ফলে ইমার্জেন্সি একাধিক কোনো রোগী থাকলে ও মডেল এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের থেকে যায় কিন্তু তার চালক থাকে না৷ এটাই হচ্ছে বক্সনগর হাসপাতালের স্বচ্ছ চিকিৎসা এবং স্বচ্ছ পরিবেশ৷