নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ আগস্ট৷৷ ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদর দপ্তর খুমলুঙে ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষে
অগ্ণিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ সিপিআইএম ও আইপিএফটি’র মধ্যে হামলা পাল্টা হামলায় সমগ্র এলাকা রণাঙ্গনে পরিণত হয়৷ জানা গেছে, বিকালে অজ্ঞাত পরিচয় কতিপয় দুসৃকতকারী স্থানীয় সিপিআইএম পার্টি অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে৷ পরে আগুন ধরিয়ে দেয় পার্টি অফিসে৷ অভিযোগের তীর যায় আইপিএপটি’র দিকে৷ এর পরেই শুরু হয়ে যায় হামলা ও পাল্টা হামলা৷ উভয় পক্ষের বেশ দশজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল সংখ্যক পুলিশ এবং সুরক্ষা বাহিনী ঘটনা স্থলে ছুটে গেছে৷ রাতে খবর লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, বুধবার সকালে আইপিএফটির স্থানীয় কর্মীরা দেখতে পান সেখানে তাদের দলীয় পতাকা ও প্রচার সজ্জা নষ্ট করে ফেলে রাখা হয়েছে৷ এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আইপিএফটি নেতারা রাধাপুর থানায় যায় অভিযোগ জানাতে৷ পুলিশের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী করেন আইপিএফটি নেতারা৷ তারা দাবী করেন যারা তাদের দলের প্রচার সজ্জা নষ্ট করেছে তাদের সনাক্ত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে৷ পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেছে৷ পরে আইপিএফটির সমর্থকরা রাধাপুর থানা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় এলাকার কিছু সিপিএম ক্যাডার আইপিএফটির সমর্থকদের লক্ষ্য করে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে বলে অভিযোগ৷ এই বিষয়ে আইপিএফটির সমর্থকরা সিপিএম পার্টি অফিসে গিয়ে কথা বলছিল৷ তখন সিপিএম ও আইপিএফটি কর্মীদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়৷ এই ঘটনাটি সকালের দিকে৷
তারপর, বিকেল নাগাদ টাকারজলা, জম্পুইজলা, চম্পকনগর ইত্যাদি এলাকা থেকে গাড়ি বোঝাই হয়ে প্রচুর সংখ্যায় আইপিএফটি কর্মী সমর্থক খুমুলুঙয়ে পৌঁছে৷ তারপর শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা৷ আইপিএফটির কর্মী সমর্থকরা সিপিএম কর্মী সমর্থকদের উপর সংঘবদ্ধ হামলা চায়৷ সিপিএম কর্মীরাও পাল্টা হামলা চালায়৷ উভয় দলের কর্মীরা সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয়৷ তাতে দশজন গুরুতর আহত হয়৷ রাধাপুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেেণ ব্যর্থ হয়ে জেলার পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন৷ পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষি, আই জি (আইন শৃঙ্খলা) কে ভি শ্রীজেস বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী নিয়ে খুমুলুঙে পৌঁছেন৷ তবে, এর আগেই আইপিএফটির কর্মীরা স্থানীয় সিপিএম পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ পুরো পার্টি অফিসে ভষ্মিভূত হয়ে যায়৷ সেখানে রাস্তার পাশে রাখা বেশ কিছু বাইকেও আগুন ধরিয়ে দেয়৷ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে৷ এদিকে, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে দুই দলের কর্মী সমর্থকদের সন্ধ্যার পর সরিয়ে দিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে৷ তারপরও পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে৷ মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী৷
2017-08-10

