নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুলাই৷৷ বৃদ্ধ বাবা-মা’র ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে সন্তানেরা আইনত বাধ্য৷ তবে, আইনের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়৷ বৃহস্পতিবার গভর্নমেন্ট পেনশনার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত সামাজিক সচেতনতামূলক আলোচনাচক্রে একথা বলেন নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী মানিক দে৷
বিশ্বায়নের ছোবলে যান্ত্রিক হয়ে উঠেছে সবাই৷ শুধুমাত্র জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত নবীণ প্রজন্ম৷ তবে, রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের শাসনে একটি সুস্থ, সুস্থিতির পরিবেশ বজায় রয়েছে বলে দাবি করেন মানিক দে৷ তাঁর মতে, বর্তমানে এই পরিবেশকে বিষাক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সাম্প্রদায়িক শক্তি৷ গরীবের অর্জিত অধিকার হরণ করছে কেন্দ্র৷ সামাজিক সুরক্ষা ভাতার সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু, কেন্দ্রের সরকার বাজেটের বরাদ্দ কমাচ্ছে৷ দেশে আচ্ছে দিন নয়, নেমে এসেছে অন্ধকারময় যুগ, উষ্মা প্রকাশ করে বলেন তিনি৷
সুকল স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের চেতনা জাগিয়ে তুলার জন্য বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ বাবা-মা’র প্রতি সন্তানদের শ্রদ্ধাভাব, সেবা করার মানসিকতা না থাকলে আইনের মাধ্যমে বাধ্য করে সুদৃঢ় ফল পাওয়া মুশকিল, মনে করেন তিনি৷ তাঁর বক্তব্য, শিক্ষা ব্যবস্থায় গেরুয়াকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্র৷ রাজ্য সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে প্রবীণ নাগরিকদের সম্মানের সহিত বাঁচার জন্য সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নতুন সামাজিক সুরক্ষা ভাতা চালু করেছে৷ তিনি বলেন, সন্তানদের ভাবতে উচিৎ, তাঁদেরও একদিন বার্ধক্যের ভাড়ে ঝঁুকতে হবে৷ গভর্নমেন্ট পেনশনার্স এসোসিয়েশনের আলোচনাচক্র তখনই সফল হবে, যখন প্রত্যেক স্তরের মানুষ নিজস্ব দায়দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত থাকবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন মানিক দে৷ এদিন এই আলোচনাচক্রে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ডি ডার্লং, গভর্নমেন্ট পেনশনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুবোধ চন্দ্র দেবরায় প্রমুখ৷
2017-07-28

