রাঁচি, ২ জুলাই (হি.স.) : ঝাড়খণ্ড গণপিটুনি মামলায় এক স্থানীয় বিজেপি নেতা সহ দুই জনকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। শনিবার রামগড়ের বিজেপি মিডিয়া সেলের নিত্যানন্দ মাহাতো এবং ছোটু রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এই গণপিটুনির ঘটনার ভিডিওতে ছোটু রানাকে নিহতকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। ছোটু রানা গোরক্ষা সমিতির সদস্য বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মারুতি ভ্যানে করে মাংস নিয়ে যাচ্ছিলেন মাংস ব্যবসায়ী আসগার আলি ওরফে আলিমুদ্দিন (৫০)। সেই সময় বাজারটাঁড় এলাকায় তার ওপর চড়াও হয় একদল যুবক। গাড়িতে করে গো-মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে আলিমুদ্দিনকে মারতে শুরু করে তারা। তাঁর গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জ্বলন্ত গাড়ির কাছেই রাস্তার ওপর পড়ে ছিলেন তিনি। পুলিশ এসে উদ্ধার করে। প্রথমে রামগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাঁচির রিমস হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে নিত্যানন্দ মাহাতোর দেখা মিলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ দাবি করেছেন যে, প্রশাসন পৌঁছনোর পর কী ঘটেছে তা জানতে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। মিডিয়া সেলে নিত্যানন্দের সহকর্মী বরুণ সিংও দাবি করেছেন, নিত্যানন্দ গণপিটুনির ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বরুণ বলেছেন, যেখানে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল, সেই বাজার টাঁড় এলাকাতেই নিত্যানন্দর বাড়ি। ভিডিওতেও নিত্যানন্দকে ডিএসপি-র পিছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছনোর পর নিত্যানন্দ সেখানে যান। বরুণ বলেছেন, এরপরও নিত্যানন্দকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দুই ব্যক্তি গ্রেফতারের পর বিজেপির জেলা সভাপতি শিবশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে গণপিটুনির ঘটনার নিন্দা করেন। একইসঙ্গে নিরীহদের হেনস্থা না করার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানান।-