নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/উদয়পুর, ১৬ মে৷৷ পৃথক স্থানে দুই কিশোরী ধর্ষিতা হয়েছে৷ দুটি ঘটনারই মামলা নেওয়া হয়েছে৷ তবে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে৷ অন্য অভিযুক্ত পালিয়ে আত্মগোপন করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ এদিকে, উত্তরোত্তর ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, সিধাই থানার অধীন মেঘলিবন বস্তি এলাকায় চা বাগানের এক শ্রমিকের কিশোরী মেয়েকে শহরের ধলেশ্বর এলাকার মুন্না রবিদাস নামে এক যুবক ধর্ষণ করেছে বলে সিধাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ মামলার নম্বর ৩৪/১৭৷ মামলাটি হয়েছে আইপিসির ৩৭৬ ও ৪১৭ ধারা মোতাবেক৷ পুলিশ অভিযুক্ত মুন্না রবিদাসকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে তল্লাসী চালিয়েছে৷ কিন্তু, আটক করা সম্ভব হয়নি৷ পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে৷ ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন পূর্বে মেঘলিবন বস্তি এলাকার ঐ কিশোরীর সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে মুন্না রবিদাসের৷ সেই সুবাধে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঐ কিশোরীর সাথে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে মুন্না৷ গত কয়েকদিন যাবৎ মুন্না ঐ কিশোরীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে৷ তাতেই দেখা দেয় বিপত্তি৷ বহু চেষ্টা করেও বিয়েতে রাজী করাতে পারেনি মুন্নাকে৷ শেষে উপায়ান্তর না পেয়ে সিধাই থানায় গিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়৷
এদিকে, গর্জির দাতারামে এক কিশোরীকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ ঐ কিশোরীর চিৎকার চেচামেচিতে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে ধর্ষণের অভিযুক্ত যুবককে রামধোলাই দিয়েছে৷ বর্তমানে ঐ যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
জানা গিয়েছে, দাতারামের ঢাকারসন মারাক (১৮) প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়৷ তখন ঐ বাড়িতে অভিভাবকরা কেউ ছিলেন না৷ শুধু ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ে একাই ছিল৷ একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে ঢাকারসন ঐ কিশোরীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং ধর্ষণ করে৷ কিশোরীর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে যায় এবং ঢাকারসনকে পাকড়াও করে বেধরক মারধর করা হয়৷ তারপর খবর দেওয়া হয় আর কে পুর থানায়৷ পুলিশ গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে ঢাকারসনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ কঠোর পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অভিযুক্ত ঢাকারসন৷ এদিকে, পুলিশ ধর্ষিতা কিশোরীকে নিয়ে যায় ডাক্তার পরীক্ষার জন্য গোমতী জেলা হাসপাতালে৷ এই ব্যাপারে আর কে পুর মহিলা থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে৷ মামলার নম্বর ২৩/১৭৷ মামলাটি হয়েছে আইপিসির ৩৭৬ (২), (১) ধারা এবং পক্সো আইন মোতাবেক৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ প্রসঙ্গত, ধর্ষণ সংক্রান্ত ঘটনার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই প্রণয়ের বিষয়গুলি সামনে আসছে৷ এই ব্যাপারে অভিভাবকদেরও কিছুটা সচেতন থাকার উপর গুরুত্বারোপ করেছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল৷
2017-05-17