ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা, উপাচার্যের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান দুর্নীতির অভিযোগ প্রতিবাদী শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে৷৷ ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতির জেরে পরিস্থিতি কার্যত

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রতিবাদী শিক্ষকরা৷ ছবি নিজস্ব৷

নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি বড় অংশ উপাচার্যের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণের বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রতিবাদী অধ্যাপকরা৷ ‘এন্টি করাপশন উইং’ নাম দিয়ে প্রতিবাদী অধ্যাপকরা উপচার্যের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনেছেন৷ অধ্যাপক সেলিম শাহ এবং অধ্যাপিকা মিলন রানি জমাতিয়া জানিয়েছেন, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানোর দায় হয়ে পড়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজ্যের সর্বোচ্চ শিক্ষাঙ্গন হলেও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ আর এই জন্য দায়ী উপাচার্য অঞ্জন কুমার ঘোষ নিজে৷
তাঁরা বলেন, ‘ই-বুক কেলেঙ্কারি এখন আর গোপন নেই৷ এজন্য দায়ী খোদ উপাচার্য৷ দুর্নীতির ঘটনাক্রমে এখানেই থেমে থাকেনি৷ পরবর্তী বিভিন্ন সময় দুর্নীতির মাত্রা আরও বাড়তে থাকে কিন্তু এই দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গিয়ে বিভিন্ন স্তরে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনিয়মকে হাতিয়ার করা হয়েছে৷ উপাচার্য তার বিশ্বস্ত কতিপয় আধিকারিক এবং শিক্ষককে অবৈধভাবে পদোন্নতি পাইয়ে দিচ্ছেন৷ পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে এসে ঠেকেছে তাতে প্রকাশ্যে আশা ছাড়া তাদের আর কোন বিকল্প নেই’৷
মিলন রানি জমাতিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ৷ মহিলা অধ্যাপিকা হয়েও তিনি হুমকির সম্মুখীন৷ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই স্পেশাল অডিট শুরু হয়েছে৷ এই অবস্থায় দুর্নীতিগ্রস্ত অন্যান্য অধ্যাপকদের মুখ বন্ধ করতে চাপ দিতে শুরু করেছে৷ আর উপাচার্য তাদের হয়ে কাজ করছেন৷ প্রসঙ্গত, গত বেশ কিছুদিন যাবত ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ অধ্যাপকরা গত কয়েকদিন আগে উপাচার্যকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখেন পরে অবশ্য কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন সত্যদেও পোদ্দারকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *