BRAKING NEWS

মায়ের ফাঁসিতে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, সন্দেহের নজরে রয়েছে দুই ছেলে

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৫ এপ্রিল৷৷ রাজ্যে আত্মহত্যা এবং হত্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত হচ্ছে হত্যা বা আত্মহত্যার ঘটনা৷ তেমনি এক রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল উত্তর জেলার কদমতলার সরসপুর এলাকায়৷ কদমতলা থানাধীন সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রানী বালা নাথের ফাঁসিতে জুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে৷ সরসপুর ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুক্তেশ্বর নাথের স্ত্রী রানী বালা নাথ (৬৫) গতকাল রাতে খাওয়া দাওয়ার পর স্বামীর সাথে ঘুমিয়ে পড়েন৷ আজ কাকভোরে বয়স্ক স্বামী স্ত্রীকে বিছানায় না পেয়ে খোঁজতে গিয়ে ঘরের একটি কোনার মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছেন বলে দেখতে পান৷ গলায় শাড়ি বেঁধে ঘরের ভিমের সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ও দুই পুত্র ছুটে আসেন৷ খবর দেওয়া হয় কদমতলা থানাকে৷ পুলিশে ঘটনাস্থলে এসে রানী বালা নাথের মৃতদেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য কদমতলা হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ এদিকে স্থানীয় জনগণ ও মৃতার মেয়ের অভিযোগ দুই ভাই চক্রান্ত করে তাদের বয়স্ক মাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে৷ সেই মর্মে পুলিশ দুই ভাইকে কদমতলা থানাতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়৷ তারপর তাদেরকে ছেড়ে দেয়৷
অপরদিকে কদমতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে মৃতার দুই পুত্রকে প্রথম স্তরের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে৷ এবার ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই আসল সত্য উদ্ঘাটন হবে যে, এটা আত্মহত্যা না হত্যা৷ উল্লেখ্য যে, মৃতার দুই পুত্র ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে৷ সবাইকে বিয়ে দিয়ে নিজের সংসারের হাল হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন৷ স্বামী পেশায় দিন মজুর ছিলেন৷ বর্তমানে বয়সের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে শয্যাশায়ী স্বামী৷ উনিও প্রায়ই বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত থাকেন৷ দুই পুত্রের উপর নির্ভরশীল৷ কিন্তু দুই পুত্রের গুণ কীর্তনের শেষ নেই৷ এমনটাই বক্তব্য মৃতার কন্যা ও পাড়া প্রতিবেশীর৷ তাদের বক্তব্য মৃতার দুই ছেলে বয়স্ক মা বাবার সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করত৷ ভরণপোষণ দিতনা৷ এমনকি কিছু দিন পূর্বে মাকে মেরে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছিল দুই পুত্র৷ নির্যাতিতা মা পুত্রদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কদমতলা থানায় একটি মামলা রুজু করেছিলেন৷ পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তারও করে৷ অবশেষে মা রানী বালা এসে দুই পুত্রকে ছাড়িয়ে নিয়েও যান৷ কিন্তু গতকাল রাতে পবিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে দুই পুত্র এমনই অভিযোগ মৃতা রানী বালা নাথের কন্যা ও পাড়া প্রতিবেশীর৷ উনারা আরও বলেন ঘরের যে জাওগায় ফাঁসি লাগানো ছিল সেখানকার নিচে কোন ধরনে চেয়ার বা টেবিল ছিলনা৷ শূন্যের উপরে একটি লাশ ভিমে ঝোলানো ছিল৷ তাই এই মৃত্যু আত্মহত্যাজনিত নয় বলে কন্যাদের দাবী৷ এখন দেখার বিষয় কদমতলা থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর রিপোর্ট দেখে আসল রহস্য উন্মোচন করতে কতটুকু সক্ষম হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *