নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি ৷৷ রাজ্য প্রশাসনে ঘুণে ধরেছে৷ যার কারণে প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিক থেকে শুরু করে নিচু স্তর পর্যন্ত সর্বত্রই অরাজকতা কায়েম হয়েছে৷ দপ্তর চেকের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করলেও ব্যাঙ্ক সেই চেক ফেরত দিয়ে দিচ্ছে৷ এর কারণ হল, ডিডিওদের একাউন্ট আপডেট করা নেই৷ জনৈক ব্যাঙ্ক আধিকারিক এবিষয়ে খোলসা করে বলেন, ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ডিডিওদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট কোনটার কেওয়াইসি আপ টু ডেট নেই, আবার কোন দপ্তরে একাউন্টে ট্যান (ট্যাক্স ডিডাকশন এন্ড কালেকশন একাউন্ট নাম্বার) আপডেট করা হয়নি৷ যার কারণে চেক গেলেই ব্যাঙ্ক সেটা ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে৷ ফলে, বিলের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে চেক মিললেও পাওনা টাকা ঢুকছে না একাউন্টে৷
সম্প্রতি, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরেও একই চিত্র ধরা পড়েছে৷ ডিডিও’র একাউন্ট আপডেট না থাকায় অনেক চেক ফেরত এসেছে৷ এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাঙ্ক কর্মীরা ধারণা করছেন তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের ডিডিও’র একাউন্ট হয় কেওয়াইসি আপ টু ডেট নয়, নয়তবা একাউন্টে ট্যান আপডেট নেই৷ যার কারণে, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের এসবিআই টিএলএ শাখা কোনও চেক আসলেই সেটি ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে৷
সূত্রের খবর, শুধু তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তর নয়, রাজ্য সরকারের অধীন আরো বহু এমন দপ্তর রয়েছে যাদের একাউন্টে সঠিক তথ্য আপ টু ডেট না থাকার কারণে চেকের মাধ্যমে বিলের টাকা মেটানো যাচ্ছে না৷ অথচ এবিষয়ে এক প্রকার কুম্ভনিদ্রায় রয়েছেন দপ্তরের কর্তারা৷ প্রতিনিয়ত চেক ফেরত আসলেও জো হুজুর মার্কারা পুনরায় দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছেন৷ কিন্তু তাতে মূল সমস্যা সমাধান এখনো অনেক দপ্তরেই রয়ে গেছে৷
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অজ্ঞতার কারণে টিডিএস কাটা হলেও তা আয়করে জমা পড়েনি এই তথ্য জানা গিয়েছিল কমিশনার অফ ট্যাক্সেসের কাছ থেকে৷ সম্প্রতি, অর্থ দপ্তরকে সাথে নিয়ে আয়কর দপ্তর বিভিন্ন সরকারি কেরানিদের নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল৷ যেখানে টিডিএস তথা কর সংক্রান্ত সমস্ত খঁুটিনাটি বিষয় বিস্তারিতভাবে তাদের অবগত করা হয়েছে৷ দুদিন ব্যাপী এই কর্মশালার সুফল আদৌ কতটা মিলবে এনিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে৷ এরই মাঝে ব্যাঙ্ক একাউন্টের সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা না দিয়েও আবারও সরকারি কেরানিরা বুঝিয়ে দিয়েছেন ঘুণে ধরা প্রশাসনে এর থেকে বেশি আশা করা বৃথা৷
2017-01-31