নয়াদিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : দুর্নীতিকে আড়াল করতে দলিত ইসু্যকে সামনে আনতে চাইছেন মায়াবতী| পাল্টা খোঁচা বিজেপির| নোট বাতিলের পর বহুজন সমাজবাদী পার্টির দলীয় অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা পরতেই বিষয়টি ইডির নজরে আসে | যা নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে করে বিজেপি খোঁচা দেন দলনেত্রী মায়াবতী | এমনকি তিনি বলেন দলিত বলেই হেনস্থা করা হচ্ছে| এরপরই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বিষয়টি নিয়ে সরব হন| তিনি বলেন, দুর্নীতিকে আড়াল করতে দলিত ইসু্যকে সামনে আনতে চাইছেন মায়াবতী| এভাবে দুর্নীতিকে চাপা দিতে পারবেন না| কী ঘটেছে, সেটা সবার কাছেই পরিষ্কার |
প্রসঙ্গত, নোট বাতিলের পর বিএসপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০৪ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে জানা গিযেছে| নোট বাতিলের পর পশ্চিম দিল্লিতে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখায় বিএসপির অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে এই টাকা| ওই শাখাতেই মায়াবতীর ভাই আনন্দের অ্যাকাউন্টে ১.৪৩ কোটি টাকা রয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে|
এই পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে|
এর প্রেক্ষিতেই এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন ময়াবতী| মায়াবতী দাবি করেন, নিয়ম মেনেই জমা করা হয়েছে| যে টাকা আদায় হয়েছে, তা নোট বাতিল ঘোষণার আগেই| ওই টাকা কি ছুঁড়ে ফেলে দেব? বিজেপির অ্যাকাউন্টে এমন কত টাকা জমা পড়েছে, তা দেখা হোক|
এরপরই পাল্টা খোঁচা উড়ে এল বিজেপির দিক থেকেও| রবিশঙ্কর বলেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে যে ওই টাকা জমা পড়েছে, এটা অন্তত অস্বীকার করেননি| প্রশ্ন হল, এটা কি সত্যিই রাজনৈতিক অনুদান? নাকি অনুদানের আড়ালে কালো টাকা সাদা হচ্ছে? কথায় কথায় দলিত আবেগ টেনে আনা হচ্ছে| এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক| এভাবে কি দুর্নীতি আড়াল করা যায়? উত্তর প্রদেশের মানুষ কিন্তু সব ৱুঝতে পারছেন| তাঁরা ঠিক সময় হিসেব মিটিয়ে দেবেন|