নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ১ ডিসেম্বর৷৷ বেআইনী ভাবে সরকারী জমিতে বাসগৃহ স্থাপনকারী ৩৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করল বিশালগড় মহকুমা প্রশাসন৷ এই উচ্ছেদকে বরদাস্ত করতে না পেরে উল্টো জাতীয় সড়ক অবরোধ করল ঐ পরিবারগুলি৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশালগড় মহকুমার গকুলনগর এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, সেন্ট্রাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে গকলুনগরের তপুবন আশ্রম রোডের কাছে কিছু জায়গা বরাদ্দ রয়েছে৷ সেই জায়গায় ৩৬টি পরিবার বসতি স্থাপন করে বসবাস করছে৷ এই বসতি স্থাপন করাটা সম্পূর্ণ অবধৈ বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে প্রশাসন বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছে৷ বিভিন্ন সূত্র মারফত প্রশাসনের কাছে খবর ছিল ঐ বাসিন্দারা সেখান থেকে উঠতে চাইছে না৷ তাই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় বিশালগড় মহকুমা প্রশাসন৷ বুধবার রাত নয়টা নাগাদ বিশালগড়ের এসডিএম বিশাল সংখ্যায় পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঐ এলাকায় যান৷ সেখানে অবৈধভাবে জায়গা দখলকারী পরিবারগুলিকে ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন৷ কিন্তু, কোন অবস্থাতেই তারা এই জায়গা থেকে সরে যাবে না বলে প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখায়৷ তাই বাধ্য হয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদেরকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করে৷
এদিকে, রাত পোহাতেই ঐ ৩৬টি পরিবারের লোকজন একজোট হয়ে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের পথে হাটল৷ বৃহস্পতিবার আগরতলা-সাব্রুম জাতীয় সড়কের গকুলনগর এলাকায় অবরোধ আন্দোলন গড়ে তুলে৷ সকাল নয়টায় আচমকা সড়ক অবরোধে নামায় যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়৷ উভয় দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়৷ প্রায় একঘন্টা ধরে চলে এই অবরোধ আন্দোলন৷ ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় মহকুমা শাসক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারীক সহ বিশাল পুলিশ ও টিএসআর জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ প্রশাসনের কর্মকর্তারা আলোচনা করেন আন্দোলনকারীদের সাথে৷ বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পর তারা পথ অবরোধ তুলে নেয়৷ জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদের দাবি তাদের কাছে জায়গার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে৷ মহকুমা শাসক তাদেরকে বলেছেন বৈধ কোন কাগজপত্র থাকলে তা নিয়ে মহকুমা শাসকের অফিসে যোগাযোগ করা হলে৷ জমির মালিক যারা থাকবেন তাদেরকে যথাস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে৷