নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া/ আগরতলা, ১ ডিসেম্বর৷৷ জঙ্গী হামলায় শহীদ চিত্তরঞ্জন দেববর্মার শেষকৃত্য পূর্ণ রাষ্ট্রীয়
মর্য্যাদায় শুক্রবার সম্পন্ন হবে৷ কল্যাণপুরের বড়ময়দানের কাছে গারিংপাড়ায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহীদ জওয়ানের শব আগরতলায় আনা হয়েছে৷ রাখা হয়েছে আসাম রাইফেলসের স্থানীয় হাসপাতালে৷ এদিকে বৃহস্পতিবার শীহদ চিত্তরঞ্জন দেববর্মার শব কল্যাণপুরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর ছিল৷ সেই মোতাবেক প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি সহ কল্যাণপুরের বিভিন্ন গ্রামের হাজারো জনগণ অন্তিম বিদায় জানাতে শহীদের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন৷ কিন্তু, এদিন শব নিয়ে যাওয়া হয়নি কল্যাণপুরে৷ এদিকে, এদিন সন্ধ্যায় আগরতলা শহরে ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ চিত্তরঞ্জন দেববর্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে৷ এছাড়া ডিওয়াইএফআই’র পক্ষ থেকে শহীদ জওয়ান শম্ভু সাতমুড়া ও শহীজ জওয়ান চিত্তরঞ্জন দেববর্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে৷ প্রজ্জ্বলন করা হয় মোমবাতি৷
জম্মুর নাগরোটার আর্টিলারি সেনা শিবিরে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ পুলিশের উর্দি পরে পাকিস্তানের জঙ্গীরা অত্যাধুনিক আগ্ণেয়াস্ত্র সমেত আত্মঘাতী হামলা চালায়৷ এই জঙ্গীদের এই কাপুরুষের হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানরা৷ দেহে প্রাণ থাকা অবস্থায় চিত্তরঞ্জন দেববর্মা সহ অন্যান্য সৈনিকরা জঙ্গীদের মোকাবিলা করে যায়৷ কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি জাতীর সম্মান বাঁচাতে গিয়ে শহীদের মৃত্যু বরণ করে নিয়েছেন চিত্তরঞ্জন দেববর্মা সহ সাতজন সৈনিক৷ ছত্রিশ [vsw id=”eBI5lEy7EuU” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]বছর বয়সী চিত্তরঞ্জন দেববর্মা শহীদ হওয়ার খবর কল্যাণপুরে পৌঁছতেই গোটা কল্যাণপুরে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ শুধু কল্যাণপুরই নয় গোটা রাজ্য এই বীর শহীদ সৈনিকের দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করায় গর্বিত৷ মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যেমন শোকাহত পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তেমনি রাজ্যের আপামর জনগণ এই জওয়ানের শহীদ হওয়াকে সেলুট জানাচ্ছে৷
বৃহস্পতিবার দিল্লী থেকে বিশেষ বিমানে শহীজ বীর সৈনিক চিত্তরঞ্জন দেববর্মার শব আগরতলা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেনা বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার সহ অন্যান্য আধিকারীকরা৷ ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারীকরাও৷ বিমানবন্দর চত্বরে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপস্থিত পদাধিকারীরা৷ শুক্রবার সকালে হেলিকপ্ঢারে করে শহীদের শব নিয়ে যাওয়া হবে কল্যাণপুরের পাগলাবাড়ি ভিলেজের ওয়ারেন্টু সুকলের মাঠে৷ এই সুকলের মাঠেই হেলিকপ্ঢার অবতরণ করবে৷ হেলিকপ্ঢার থেকে নামিয়ে কফিনবন্দী শব দেড় কিলোমিটার পথ বেয়ে গাড়িংপাড়াস্থিত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন টিএসআর, পুলিশ ও সেনা বাহিনীর জওয়ান এবং আধিকারীকরাও৷ তোপ ধবনির মাধ্যমে সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্য্যাদায় শহীদ বীর সৈনিক চিত্তরঞ্জন দেববর্মাকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে৷