অমৃতসর, ৩০ অক্টোবর (হি.স.) : দীপাবলিতে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য আদানপ্রদান বা মিষ্টি বিনিময় করবে না ভারত। সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় জওয়ান ও সীমান্তবর্তী গ্রাম লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে পাক সেনা। এই পরিস্থিতিতে দীপাবলির দিন পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করল না ভারত। প্রতিবছর আজকের দিনে দুই দেশের সেনা একে অন্যের সঙ্গে মিষ্টি বিনিময় করে। কিন্তু, রবিবার বিএসএফ-র তরফে জানানো হয়েছে, ওয়াঘা আটারি সীমান্তে পাক সেনার সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য আদানপ্রদান বা মিষ্টি বিনিময় করবে না ভারত।
উরি সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণরেখার এপার লক্ষ্য করে নাগাড়ে গুলিবর্ষণ করে চলেছে পাকিস্তান। সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় সেনা ও সীমান্তবর্তী গ্রাম লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। জবাব দেয় ভারতও। দু’পক্ষের সংঘর্ষে শহিদ হন বেশ কয়েকজন ভারতীয় জওয়ান। তাঁদের মধ্যে একজনের অঙ্গচ্ছেদ করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। প্রাথমিক তদন্তের পর সেনাদের অনুমান, অঙ্গচ্ছেদের পিছনে রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের হাত। পাক সেনার মদতে তারা এ কাজ করেছে। যদিও পালটা হামলা চালিয়ে ৪টি পাকিস্তানি আউটপোস্ট ধ্বংস করে সেনা। তারপরও থামেনি পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন। আজ সকালে ফের জম্মু কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সীমান্তের একাধিক ভারতীয় সেক্টর লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাকিস্তান। তারপরই বিএসএফ-র তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়।
সরকার সূত্রে খবর, অন্তত ২৫০-৩০০ জৈশ ও লস্কর ই তৈবা জঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লঞ্চ প্যাডগুলিতে অপেক্ষা করছে, সুযোগ পেলেই নিয়ন্ত্রণরেখা টপকাবে তারা। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীই তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট জানাচ্ছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১০১টি ছাউনিই টার্গেট করেছে পাক সেনা। আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারী মেশিনগান ও ৮২১ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে হামলা চালাচ্ছে তারা, যাতে জঙ্গিরা এর ফাঁকে এ দেশে ঢুকে পড়তে পারে। সেনাপ্রধান দলবীর সিং এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন নর্দার্ন কম্যান্ডকে।