BRAKING NEWS

অভিশপ্ত ৩০/১১, সন্ত্রাসমুক্ত অসম গড়ার অঙ্গীকার মুখ্যমন্ত্রীর, ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পীড়িতদের

গুয়াহাটি, ৩০ অক্টোবর, (হি.স.) : আজকের অভিশপ্ত ৩০ অক্টোবরের দিনকে কালো দিবস হিসেবে পালন করছে অসম। আজকের বিভীষিকাময় দিনেই ২০০৮ সালে সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে গুয়াহাটির তিন, বরপেটার দুই, কোকরাঝাড়ে তিন এবং বঙাইগাঁওয়ের এক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এনডিএফবি-র সংবিজিত গোষ্ঠী। নিহত মোট ৮১জন এবং আহতের সংখ্যা ছিল ৪৭০। আজ পর্যন্ত বহু পঙ্গুত্বের জীবন কাটাচ্ছেন।
গুয়াহাটিতে গণেশগুড়ি উড়ালসেতুর নীচে, সিজিএম আদালত চত্বর, পানবাজারে এনডিএফবি-র ধারা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ৫৩ জন নিরীহ জনসাধারণ। মর্মান্তিকভাবে নিহতদের স্মৃতিতে আজ গণেশগুড়ির উড়াল সেতেু নীচে নির্মিত স্মৃতিসৌধ, আদালত চত্বরে নির্মিত স্মারক, পানবাজারে শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সরকারিভাবে গণেশগুড়িতে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে এদিন নিহতদের প্রতি মাল্য-পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, স্থানীয় বিধায়ক সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, দিশপুরের বিধায়ক অতুল বরা, গুয়াহাটির মহানাগরিক (মেয়র) মৃগেন শরণিয়া, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, মুখ্যসচিব, পুলিশপ্রধান মুকেশ সহায়, জেলাশাসক এম অঙ্গমুথু, অসম পুলিশের বিশেষ শাখার মহানির্দেশক কুলধর শইকিয়া, মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস উপদেষ্টা হৃষিকেশ গোস্বামী প্রমুখ।
গুয়াহাটি আইনজীবী সমাজও আজ কালোদিবস পালন করেছে আদালত চত্বরের স্মারকসৌধে। এখানেও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুটি অনুষ্ঠানে আয়োজিত স্মরণসভায় মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর সরকার রক্তপাতে বিশ্বাস করে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষ শান্তি চান, মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে চান। তাঁরা সন্ত্রাস নয়, দ্রুত উন্নয়ন চান। বলেন, হিংসা কখনও সমাজের উন্নতি সাধন করতে পারে না। শান্তি ও সমন্বয়ই সমাজের পরিবর্তন আনতে পারে। খুন-হানাহানি-হিংসা উন্নয়নে বাধা দেয়। তাই এ সব জঘন্য কাজকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে সবাইকে সংগ্রাম করতে হবে।
সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে তাঁর সরকার রাজ্যের জনসাধারণের নিরাপত্তা সুনিশ্চত করার পাশাপাশি উন্নয়নের ক্ষেত্রে সকলেই যাতে সম অধিকার পান সে ব্যাপারে বদ্ধপরিকর বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাষ় নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিপূরণ এবং ব্যবস্থা গ্ৰহণের আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত আট বছর ধরে প্রত্যেক বছর এই একইদিনে একই ধরনের অনুষ্ঠানে তদানীন্তন রাজ্য সরকার নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিত। কানাকড়িও কেউ পাননি। এবার পীড়িতদের পরিবারবর্গের আশা নতুন সরকার তাদের প্রতি মুখ তোলে তাকাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা পেশ করেন গুয়াহাটির বিধায়ক সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, দিশপুরের বিধায়ক অতুল বরা, গুয়াহাটির মহানাগরিক মৃগেন শরণিয়া প্রমুখ।
স্মরণসভার আগে একটি সর্বধর্ম প্রার্থনা সভারও আয়োজন করা হয়েছিল গণেশগুড়িতে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে নানা অনুষ্ঠান
এদিকে ২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবরের ঘটনায় জড়িতদের শীঘ্ৰ শাস্তির দাবি তুলেছে গুয়াহাটি অধিবক্তা (আইনজীবী) সমাজে। ফাস্টট্ৰেক আদালতের মাধ্যমে এদের বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *