রাজ্য সরকারের নিয়োগ নীতির কারণে বঞ্চিত প্রকৃত বেকার ঃ যুব তৃণমূল

tmycনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ অক্টোবর৷৷ রাজ্য সরকারের কোন নিয়োগ নীতি নেই৷ এজন্যই রাজ্যের যুব সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন৷ তবে, এবিষয়ে শাসক দলের যুব সংগঠনের মুখে কোন শব্দ নেই৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই শাসক দলের যুব সংগঠন ডিওয়াএফআই’কে সাড়াশি আক্রমন করেন প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেস৷ এদিন, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুশান্ত চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, বিগত তিন বছরে রাজ্য সরকার চারবার সংশোধন করেছে নিয়োগ নীতি৷ এবং তা করা হয়েছে কেবল মাত্র শাসক দলের পছন্দের প্রার্থীকে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার জন্য, অভিযোগ সুশান্তবাবুর৷
এদিন তিনি বলেন, রাজ্যে সাত লক্ষের উপর বেকার রয়েছেন৷ চাকুরী মামলা সুপ্রীম কোর্টে চলছে৷ কারণ, উচ্চ আদালতের রায়ে ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেছে৷ রাজ্য সরকারের ভুল নিয়োগ নীতির কারণেই ১০,৩২৩ জন শিক্ষকদের চাকুরী ঝুলে রয়েছে৷ তাঁর অভিযোগ, উচ্চ আদালতের দাবড়ানি খেয়েও সম্ভিত ফিরেনি রাজ্য সরকারের৷ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ নীতিতে সংশোধন করা হলেও, নিজেদের পছন্দের মানুষকে চাকুরী দেওয়ার জন্য গত তিনবছরে চারবার সংশোধন করা হয় সেই নিয়োগ নীতি৷
সুশান্তবাবু জানান, রাজ্য সরকারের সাধারণ প্রশাসনের মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী ১২ জানুয়ারী ২০১৫, ১১ মার্চ ২০১৬, ২৩ জুলাই ২০১৬ এবং ১৮ মে ২০১৬ নিয়োগ নীতিতে সংশোধন করা হয়েছে৷ অথচ স্বাস্থ্য দপ্তরের চাকুরীর বিষয়ে আরটিআই’র উত্তরে শুভাশিষ দে নামে এক ব্যাক্তিকে দপ্তরের তরফে জানানো হয় যে, একথা সত্য কিসের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রার্থীদের মার্কস দেওয়া হয়েছে তার কোন বর্ণনা নেই৷ প্রত্যেক প্রার্থীর ক্রমিক নাম্বারের পাশে শুধু মাত্র মার্কস দেওয়া রয়েছে৷ কিন্তু কি কি বিষয়ে কত নম্বর তাদের দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কোন কিছুই উল্লেখ করেনি ইন্টারভিউ বোর্ড৷ সুশান্তবাবুর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নিয়োগ নীতি অনুযায়ী মেধা, নিডি সহ আরো কয়েকটি বিষয়ে মার্কস দেওয়া হয়৷ কে কোন বিষয়ে কত মার্কস পেয়েছে সেটাও ইন্টারভিউ বোর্ড উল্লেখ করতে হবে বলে নিয়োগ নীতিতে রয়েছে৷ অথচ দেখা যাচ্ছে এসবের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না৷ তাঁর দাবি, নিয়োগ নীতির তোয়াক্কা না করে আদতে পছন্দমত প্রার্থীদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ঐ প্রার্থীর চাকুরী হয়ে যায়৷
সুশান্তবাবুর বক্তব্য, এভাবেই যুব সমাজ বঞ্চিত হচ্ছে৷ প্রকৃত অর্থে যারা চাকুরী পাওয়ার জন্য যোগ্য তারা সেটা পাচ্ছেন না৷ কেবল শাসকদলের পছন্দ সই প্রার্থীদের চাকুরী পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি ডিওয়াইএফআই সহ শাসক দলের যুব সংগঠনগুলির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, হিম্মত থাকলে তাঁর দাবি মিথ্যা প্রমাণিত করে দেখাক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *