মেলারমাঠের অঙ্গুলী নির্দেশেই অধ্যক্ষ তৃণমূলকে বিরোধী দলের মর্যাদা দিতে চাইছেন না ঃ সুদীপ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ই সেপ্ঢেম্বর৷৷ বিরোধী দলনেতার মর্যাদা নিয়ে অধ্যক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল sudip-royকংগ্রেস৷ বিধানসভায় এক দশমাংশ সদস্য থাকা সত্বেও বিধানসভার অধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসকে বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানে গড়িমসি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ৷ মেলারমাঠের অঙ্গুলী নির্দেশেই অধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসে বিরোধী দলের মর্যাদা দিতে চাইছেন না বলেও অভিযোগ৷ শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসে রাজ্য কার্য্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন জানান, রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ছয় জন বিধায়ক রয়েছেন৷ শতাংশের হিসাবে এক দশমাংশ সদস্য রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের৷ রাজ্য বিধানসভার আইন অনুযায়ী এক দশমাংশ সদস্য থাকলে বিরোধী দলের মর্যাদা দিতে হবে৷ ১৯৭২ সালের ত্রিপুরার বিধানসভার আইন এই স্বীকৃতিই দিয়েছে৷ ২০০৮ সালের সংশোধনীতে বলা হয়েছে বিধানসভায় বিরোধীপক্ষে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে সেই দলকে বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হবে৷ স্বভাবতই ত্রিপুরার বিধানসভার আইন অনুযায়ী বর্তমান বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে বিরোধী দলের মর্যাদা দিতে পারেন অধ্যক্ষ৷ বিষয়টি অধ্যক্ষের উপরই নির্ভরশীল৷ বিধানসভার অধ্যক্ষের সদ্দিচ্ছা থাকলেও মেলারমাঠের নির্দেশে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে বিরোধী দলের মর্যাদা দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ৷ অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য বিধানসভার আইনের পরিপন্থি বলেও মনে করে তৃণমূল কংগ্রেস৷ অবিলম্বে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা দিবাচন্দ্র রাঙ্খলকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন সুদীপ বাবু৷ উল্লেখ্য, আগামী ২২শে সেপ্ঢেম্বর থেকে ত্রিপুরা বিধানসভার শরৎকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে৷ বিধানসভা অধিবেশনের আগেই বিরোধী দলনেতার মর্যাদা নিয়ে বিষয়টির ফয়সলা না হলে তৃণমূল কংগ্রেস বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারে৷ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ৷ তিনি অভিযোগ করেন বর্তমান সরকার ও শাসক দল নাকি উপজাতি বিদ্বেষি৷ দিবাচন্দ্র রাঙ্খলকে পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত করার কারণেই সরকার ও শাসক দল তাকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে মেনে নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ তুঙ্গে উঠতে শুরু করেছে৷ বিধানসভা অধিবেশনের আগেই বিষয়টির নিঃষ্পত্তি হওয়া

জরুরী হয়ে উঠেছে৷ কেননা বিধানসভায় বিরোধী দলের ভূমিকা অপরিসীম৷ সেক্ষেত্রে বিরোধী দলের স্বীকৃতি না দেওয়ায় নতুন করে সমস্যা হতে পারে৷ এখন দেখার বিষয় বিধানসভার অধ্যক্ষ শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে কি সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন৷

youtu.be/18ou_6705C0