রাজ্যে সাক্ষরতার হার ৯৭২২ শতাংশ, নব সাক্ষররা ৩য় শ্রেণীর সমতুল্য ৮ম মানের করবে রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ সেপ্ঢেম্বর৷৷ আজ সারা বিশ্বের সাথে রাজ্যেও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে৷ cmরাজ্য ভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় আগরতলায়৷ পশ্চিম জেলা সাক্ষরতা সমিতির উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী এবং আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ড প্রফুল্লজিৎ সিহনা৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব যশপাল সিং৷ অনুষ্ঠানের শেষে পশ্চিম জেলার ১০ জন নব সাক্ষরকে বিশেষ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়৷
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ত্রিপুরায় বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৯৭২২ শতাংশ যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ এই সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে রাজ্যে পুরুষ ও মহিলা সাক্ষরতার পার্থক্য এখন ০০৫ শতাংশ এবং সম্ভবতঃ সেদিকেও রাজ্য দেশের মধ্যে এখন শীর্ষ স্থানে রয়েছে৷ এই সাফল্য এসেছে একমাত্র সাক্ষরতা মিশন, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মিলিত প্রচেষ্টায়৷ সাক্ষরতার আন্দোলনে এরূপ সাফল্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসরকার আরো বলেন, নব সাক্ষরদের শিক্ষাগত মান বাড়াতে দুটি বোর্ড গঠন করে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে৷ এতে ৮০ শতাংশের বেশী সাফল্য এসেছে অর্থাৎ তাদের তৃতীয় শ্রেণী পাশের সমতুল্য ধরা হবে৷ তাদেরকে আরো উচ্চতর স্তরের পরীক্ষার জন্য প্রচেষ্টা জারি রয়েছে৷ তারা চাইলে সরকার অষ্টম শ্রেণী মানের শিক্ষা দেবারও ব্যবস্থা করবে৷ নব সাক্ষরদের আরো উন্নতির লক্ষ্যে রাজ্যে ২৫টি স্কীল ডেভেলাপমেন্ট সেন্টার খোলা হয়েছে৷ যেগুলির মাধ্যমে ৭০০০-৮০০০ নব সাক্ষরকে এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷ তিনি বলেন, শিক্ষা আমাদের চোখ খুলে দেয়, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সহনশীলতার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়, দেশাত্ববোধে জাগ্রত করে৷
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের ইতিহাস তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, ২০১১ আদমসুমারী অনুযায়ী দেশের ৩০ শতাংশ লোক এখনো নিরক্ষর এবং তা মোকাবেলা করার জন্য ভারত সরকারের যে পরিমানে এখন অর্থ বরাদ্দ করছে এই ক্ষেত্রের জন্য তার চেয়ে ছয় গুণ বেশী অর্থ বরাদ্দ করতে হবে৷ যাতে করে একটি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা কমিয়ে আনা যায়৷ অনুষ্ঠানে সভাপরিত্ব করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি দিলীপ কুমার দাস৷ রাজ্য সাক্ষরতা মিশনের পক্ষে স্বাগত ভাষন দেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডাঃ মিলিন্দ রামটেকে৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্য সচিব তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন৷ সেগুলি হচ্ছে লক্ষ্যের দিকে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে নব সাক্ষরদের সাফল্যে মূল্য যুক্ত করা এবং তাদের ডিজিটালভাবে সাক্ষর হতে সহায়তা করা, যাতে তারা বিভিন্ন প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে অংস গ্রহন করতে পারেন৷

youtu.be/Rez_Sj3Li5M