নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ই সেপ্ঢেম্বর৷৷ যুদ্ধের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে ত্রিপুরা৷ ‘‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’’- এই আহ্বান জানিয়ে
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় আজ সংগঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য মিছিল৷ ছাত্র যুবা থেকে বৃদ্ধ- রাজ্যের শ্রমিক কৃষক কর্মচারী, শিল্পী সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি জাতি-উপজাতি সকল অংশের, সকল পেশার মানুষ শরিক হয়েছেন এই যুদ্ধ বিরোধী মিছিলগুলিতে৷ যুদ্ধ বিরোধী মঞ্চের আহ্বানে রাজধানী আগরতলায় সংগঠিত হয়েছে মহামিছিল৷ জাতি-উপজাতি বিভিন্ন অংশের মানুষ চিরাচরিত পোষাকে সজ্জিত হয়ে অংশ নিয়েছেন এই মিছিলে৷ মিছিলের পুরো ভাগ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী রতন ভৌমিক, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ পবিত্র কর, সাংসদ তথা যুদ্ধ বিরেধী মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক শংকর প্রসাদ দত্ত, সাংসদ ঝর্ণা দাস (বৈদ্য), বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌতম দাশ এবং শিক্ষাবিদ মিহির দেব প্রমুখ৷ বেলা ঠিক ২ টা ৫ মিনিটে মহামিছিল শুরু হয় বিবেকানন্দ (আস্তাবল) ময়দান থেকে৷ যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং শান্তির বার্তাবাহী একঝাঁক বেলুন উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই মহামিছিলের সূচনা করেন৷ সকল অংশের মানুষের সঙ্গে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাটলেন তিনি৷৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম আগরতলা শহরের প্রতিটি এলাকা থেকে শান্তিপ্রিয় মানুষ এসে পা মিলিয়েছেন এই মিছিলে৷ যুদ্ধ বিরোধী মহামিছিল বিবেকানন্দ ময়দান থেকে শুরু হয়ে বোধজং চৌমুহনী, ওমেন্স কলেজ, গণরাজ চৌমুহনী,মোটরষ্ট্যান্ড, কামান চৌমুহনী, পোষ্ট অফিস চৌমুহনী, অর এম এস চৌমুহনী, বিদুরকর্তা চৌমুহনী হয়ে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়েছে বিকেল পৌনে ৪টায়৷ মিছিলে যেমন হেটেছেন ছত্র-যুবক-বৃদ্ধ সকল বয়সের নারী পুরুষ তেমনি ট্রাই সাইকেলে করে অংশ নিয়েছেন প্রতিবন্ধীরাও৷ ইউনিফর্ম পরে এই মিছিলে অংশ নিয়েছেন হাসপাতালের সেবিকা, অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীগণও৷ চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানকর্মী, সাংবাদিক, ক্রীড়া বিদ, খেলোয়াড়, সবাই সামিল হয়েছেন এই যুদ্ধ বিরোধী মিছিলে৷ ‘‘সাম্রাজ্যবাদ ধবংস হোক, শুভ শক্তির জয় হোক’ ব্যানার সঙ্গে নিয়ে সুসজ্জিত এই মিছিলে হাতে হাতে ছিল পতকা প্লে কার্ড৷ যাতে লেখা ছিল শান্তির বার্তা৷ মিছিলে অংশ নিয়ে সকল অংশের সকল ধর্মের মানষ প্রতিবাদ জানালেন যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে, আবেদন রাখলেন শান্তি সম্প্রীতি অটুট রাখার৷ এই মিছিল থেকে মানুষ আবারও জানিয়ে দিলেন ত্রিপুরার যুদ্ধের পক্ষে নয়-‘‘শান্তিই আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য’৷
2016-09-08

