নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ আগস্ট৷৷ প্রত্যেক মাসে অন্তত একবার করে রোগী কল্যাণ সমিতির হাসপাতালের অন্তবর্তী রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয়ে তদারকির জন্য সভা করা বাধ্যতামূলক৷ রোগীদের সময় মত ওষুধপত্রের সুবিধা, পানীয় জলের সুবিধা, চিকিৎসক, নার্সদের ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয়ক সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের জন্য গঠিত রোগী কল্যাণ সমিতি দেখবে৷ আজ সিপাহিজলা জেলা শাসকের কার্যালয়ের সভাগৃহে আয়োজিত স্বাস্থ্য দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী একথা বলেন৷ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের এই পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী ছাড়াও সিপাহিজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ফকরুদ্দীন আহমেদ, সহ সভাধিপতি কমলরানী শীল, বিধায়ক কেশব দেববর্মা ও রমেন্দ্র নারায়ণ দেববর্মা সিপাহিজলা জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি, বিএসি নগর পঞ্চায়েত ও পুর পরিষদের চেয়ারম্যান, চেয়ারপার্সনগণ উপস্থিত ছিলেন৷ সভায় জেলার অন্তর্গত সাব সেন্টার, প্রাথমিক হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল সহ সব ধরনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরিষেবা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়৷ সভার শুরুতে সিপাহিজলা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এই জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য ১৫৪টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৪টি সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ২টি মহকুমা হাসপাতাল রয়েছে৷ এরমধ্যে ১৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালে চবিবশ ঘন্টা স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে৷ জেলার ১৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলিতে এম্বুলেন্স পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে৷ ৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এম্বুলেন্স পরিষেবা অবিলম্বে চালু করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন৷ তিনি হাসপাতালগুলিতে মায়েদের ১০০ শতাংশ প্রসব করানোর জন্য জনপ্রতিনিধিদের এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সময় মত মায়েদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি তথা প্রচার বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেন৷ শিশুদের স্বাস্থ্য ও জীবন সুরক্ষায় নিজ নিজ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এলাকায় ১০০ শতাংশ টিকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলেন৷ তিনি সিপাহিজলা জেলায় নির্মীয়মাণ সব ধরনের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও তৈবান্দাল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অসম্পূর্ণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন স্বাস্থ্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন৷ সভায় জেনেরিক ঔষধের পরিষেবা বৃদ্ধি, হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে মর্গের ব্যবস্থা, ইত্যাদি বিষয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবায় গুরুত্ব আরোপ করে আলোচনা হয়৷ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা শাসক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন৷