BRAKING NEWS

স্বাধীনতা দিবসের প্রাককালে নাশকতা কোকরাঝড়ে, চিন্তিত আসাম সহ গোটা পূর্বোত্তর, গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলিবৃষ্টিতে নিহত ১৩, আহত ২০, দুই জঙ্গিও খতম

terroristtriগুয়াহাটি, ৫ আগষ্ট৷৷ ফের জঙ্গি-নিশানায় দেশের উত্তর-পূর্ব৷ স্বাধীনতা দিবসের প্রাককালে আসামে জঙ্গি হামলায় চিন্তিত গোটা পূর্বোত্তর৷ শুক্রবার অসমের কোকরাঝাড়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলিবৃষ্টিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ জখম হয়েছেন অন্ততপক্ষে ২০ জন৷ গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গুলিও চলেছে৷ পরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে এখ হামলাকারীর মৃতুয হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে৷
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কোকরাঝাড়ের ব্যস্ত বলাজান বাজারে ব্যাপক তল্লাশি অভিযানে চালাচ্ছিল নিরাপত্তাবাহিনী৷ ঠিক সেইসময়ই জঙ্গিরা নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্দেশ্য করে গ্রেনেড ছঁুড়ে৷ এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তেও শুরু করে তারা৷ হামলায় অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন মারা গেছেন৷ আহত হয়েছেন আরও অনেকে৷ গুলির লড়াইয়ে মারা গেছে ২ জঙ্গি৷
এলাকায় পৌঁছেছে নিরাপত্তাবাহিনী৷ অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হচ্ছে ঘটনাস্থলে৷ ঘটনার পিছনে কারা জানা যায়নি তাও৷ তবে হামলার ঘটনায় বড়ো জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ জানা গেছে, বড়ো জঙ্গি সংগঠনের এক কম্যান্ডারের বিরুদ্ধে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) চার্জশিট জমা দেওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ায় হুমকি দেয় জঙ্গিরা৷ সেকারণেই হামলা বলে অনুমান৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল৷ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে৷
এদিকে, এদিনের এই হামলার পর গোটা গুয়াহাটি সহ আসামের বিভিন্ন শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ পাশাপাশি বিমানবন্দর, রেল স্টেশনগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে৷ একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ নজরদারী বাড়িয়েছে বলে খবর৷
এদিকে, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গী হামলার প্রেক্ষিতে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ শুধু তাই নয় বাংলাদেশের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গীর নামের তালিকা ও ছবি তুলে দিয়েছিল যারা সীমান্ত অতিক্রম করে পূর্বোত্তরের রাজ্যগুলিতে প্রবেশ করতে পারে৷ তারপরই কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য নির্দেশ দেয়৷
অন্যদিকে, সামনেই স্বাধীনতা দিবস৷ এর প্রাককালে জঙ্গীদের এই হামলায় দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে৷ যদিও প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাককালে এই অঞ্চলের জঙ্গী সংগঠনগুলির তরফ থেকে স্বাধীনতা দিবস বয়কটের ডাক দেওয়া হয়৷ স্বাধীনতা দিবস এর প্রাককালে এই জঙ্গী হামলার ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়ে বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *