নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ আগষ্ট৷৷ পারিবারিক বিবাদের জেরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করলেন স্বামী৷ নিহতের স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে শাশুড়ি৷ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ আগরতলা পূর্ব থানার অধীন আড়ালিয়া সুভাষপল্লি এলাকায়৷ মৃতের নাম গৌতম ঘোষ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷ পাশাপাশি নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠল পুলিশের এক এএসআই’র বিরুদ্ধে৷
সংবাদে প্রকাশ, রানীরবাজারের এন এস কলোনীর গীতা ঘোষের বিয়ে হয় গৌতমের সাথে৷ বিয়ের পর থেকে কয়েকবছর তাদের সম্পর্ক ভালই ছিল৷ তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে৷ ইদানিংকালে গৌতম মারাত্মকভাবে নেশাসক্ত হয়ে যায়৷ বিভিন্ন বিষয়ে পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকতো৷ স্ত্রী গীতার উপর নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়৷ এই নির্যাতনে সামিল হয় গৌতমের মা অর্চনা ঘোষ এবং নির্যাতিতার মামাশ্বশুর তথা পুলিশের এএসআই অজিত ঘোষ৷
বুধবার সকালে গৌতম ঘোষ ও তার মা অর্চনা ঘোষ গীতার সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হয়৷ প্রচন্ড মারধর করা হয়৷ বিবাদের জেরে একসময় গৌতম ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে৷ এর পরপরই শাশুড়ি অর্চনা ঘোষ পুত্রবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিতে যায়৷ যখন দেশলাই কাঠি জ্বালাতে যাচ্ছিল তখন নির্যাতিতা গীতার সাত বছরের ছেলে দেখে ফেলে এবং তার ঠাকুমার হাত থেকে দেশলাই কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে মাকে অগ্ণিদগ্দ হওয়া থেকে বাঁচায়৷ ততক্ষণে গোটা এলাকায় হৈচৈ শুরু হয়ে যায়৷ আশেপাশের লোকজন ছুটে যায় ঐ বাড়িতে৷ খবর দেওয়া হয় থানায়৷ পুলিশ গিয়ে নিহত গৌতমের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জি বি হাসপাতালে নিয়ে যায়৷
এদিকে, এই বিষয়ে একটি মামলা নিয়েছে পুলিশ৷ গৃহবধূ গীতা ঘোষের বাবা রতন ঘোষ জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন যাবতই গীতার উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে৷ এই বিষয়ে রতনবাবুর পরিবারও অবহিত রয়েছে৷ দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য অলোচনা হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু এরই মধ্যে বুধবার মেয়ের জামাতার ফাঁসিতে আত্মহত্যা এবং মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তিনি রীতিমতো বাকরূদ্ধ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন সমস্ত কিছুর পেছনে গীতার শাশুড়ি অচর্না ঘোষ এবং মামাশ্বশুর অজিত ঘোষ দায়ী৷