নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৩০ জুলাই ৷৷ গোটা রাজ্যে কিছুদিন ধরে চলছে পেট্রোল ও ডিজেল সংকট৷ আর তার মধ্যে খোলা বাজারে প্রতি লিটার তিনশ থেকে ছাড়িয়ে পাঁচশ টাকায় পেট্রোল ক্রয় করতে হচ্ছে চালকদের৷ তবে এই পেট্রোল সহ ডিজেল খোলা বাজারে আসে কিভাবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ণ৷ তবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা মহারানীপুরস্থিত নর্মদা পেট্রোল পাম্প এজেন্সি থেকে পেট্রোল সংকটের মধ্যে ও অবৈধ্য ভাবে পেট্রোল খোলাবাজারে বিক্রি করার সময় হাতে নাতে পাকড়াও করল অটো চালকরা৷ শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ ওই পেট্রোল এজেন্সীর সামনে এর বিরোধীতা করে জাতীয় সড়ক অবরোধে বসে অটো চালকরা৷ পরে মহকুমা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অবরোধ মুক্ত করে চালকরা৷
উল্লেখ্য, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে জ্বালানী তেলের সংকটে রাজ্যেবাসী ভোগন্তির শিকার৷ একদিকে যেমন জ্বালানী তেলের সংকট অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছুয়া৷ ফলে নাভিশ্বাস রাজ্যবাসীর৷ আর তার মধ্যে যদি সপ্তাহে দুইদিন মাত্রযান বাহন চালিয়ে সংসারের ভরন পোষন যোগাতে হয়, তবে ক্ষোভ তো বহিঃপ্রকাশ ঘটবে তা বলাবাহুল্য৷ শনিবার সকাল থেকে মহারানীস্থিত নর্মদা পেট্রোল পাম্পের ভিতরেই দুইদিন ধরে গাড়ি থেমে রয়েছে৷ এদিন দুপুরে পেট্রোল পাম্প সংলগ্ণ পেট্রোল কালোবাজারীর গাড়ীতে একহাজার টাকা পেট্রোল দেওয়া হয় পেট্রোল পাম্প থেকে৷ সেবিষটি পাম্পের মধ্যে থাকা কয়েকজন অটো চালক লক্ষ্য করে পাম্পের ম্যানেজারকে জানায়৷ ম্যানেজার সাফ জানিয়ে দেয়, মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশমূলেই পেট্রোল এই গাড়ীতে দেওয়া হয়৷ পরে এই বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনের নজর নেয় প্রত্যক্ষদর্শী অটো চালকরা৷ মহকুমা খাদ্য দফতরের এক কর্মী ঘটনা স্থলে এসে পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার বিপুল পালের সাথে কথা বলে পুরো ঘটনাটি জানার চেষ্টা করলেও বিপুল পাল পুরো ঘটনার মোড় ঘুড়িয়ে দিয়ে সাফ জানিয়ে দেয় এমন কোন ঘটনা ঘটেনি৷ এদিকে অটো চালকরা ঘটনার সত্যতা প্রমান খাদ্য দফতরের অধিকারিককে পাম্প সংলগ্ণ কালোবাজারীর দোকানে নিয়ে যান৷ দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নারায়ন দাস অবৈধ্য ভাবে পেট্রোল বাড়িতে মজুত রেখে চড়া দামে বিক্রি করতো৷ খাদ্য দফতরের অধিকারিক নারায়ন দাসের দোকান ও বাড়ী থেকে পেট্রোল কালোবাজারীতে বিক্রি করা প্রায় করেশ বোতল উদ্ধার করে৷ যদিও নরায়ন দাস নিজেই শিকার করেন যে, তিনি পেট্রোল বিক্রি করেন৷ নর্মদা পেট্রোল পাম্পের মধ্যে থেকে পেট্রোল এনে বিক্রি করতেন৷
এদিকে অটো চালকরা এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ পরে এক সময় চালকরা উত্তেজিৎ হয়ে পেট্রোল ও পেট্রোল পাম্প থেকে তেল সংকটের মধ্যে কেনইবা চুরা পথে মহকুমা শাসকের দোহায় দিয়ে অবৈধ্যভাবে তেল বিক্রি করল তা তদন্ত ও শাস্তির দাবীতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অটো চালকরা৷ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ পদর্শন করে অটো চালকরা৷ প্রায় দুই দিকে শত শত যানবাহন আটক পরে যায়৷ পরে খবর পেয়ে ডিসিএম ও তেলিয়ামুড়া থানার ওসি সিদ্ধার্থ শংকর রায় ঘটনা স্থলে ছুটে যায়৷ তারা অবরোধকারীদের আশ্বাস দেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে৷ পরে জাতীয় সড়ক মুক্ত হয়৷ এদিকে বিগত কয়েক বছর পূর্বেও পেট্রোল সংকটের মধ্যে নর্মদা পেট্রোল পাম্পের সামনে অবৈধ্যভাবে তেল বিক্রির অভিযান উঠেছিল নর্মদা পেট্রোল পাম্পের বিরোদ্ধে৷ সে সময় মহকুমা প্রশাসন থেকে কোন এক অজ্ঞাত কারনে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি৷ এখন দেখার এবার মহকুমা শাসক পেট্রোল পাম্পের কর্ণদায়ের বিরোধে অভিযোগের তদন্ত কতটুকু করতে সক্ষম হয়৷ নাকি বিগত দিন গুলির মধ্যে পার পেয়ে যাবেন৷ সবটাই মহকুমা শাসকের হাতে নেস্থ্য৷