নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জুলাই৷৷ আগরতলা থেকে ৪৮ ঘন্টায় দিল্লি যাওয়া সম্ভব হবে৷ রাজ্যবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ণ
এভাবেই পূরণ হবে আগামী ৩১ জুলাই৷ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই আগরতলা স্টেশনে এসে পৌঁছেছে খালি কামরা নিয়ে ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস৷ ৩১ জুলাই সাড়ে বারটায় রেলমন্ত্রী সুরেশপ্রভাকর প্রভু সবুজ পতাকা উড়িয়ে আগরতলা থেকে দিল্লি ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন৷
পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের তরফে জানা গেছে, সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার আগরতলা থেকে দুপুর দুটোয় দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ১৪০১৯ নম্বরের ট্রেনটি৷ এদিকে, দিল্লির আনন্দবিহার স্টেশন থেকে ১৪০২০ নম্বরের ট্রেনটি প্রতি সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে৷ আগরতলা থেকে দিল্লির পথে বাণিজ্যিক স্টপেজগুলি হল আমবাসা, ধর্মনগর, করিমগঞ্জ, বদরপুর, নিউ হাফলং, হোজাই, লামডিং জংশন, জাগি রোড, গুয়াহাটি, নিউ বনগাইগাঁও, নিউ জলপাইগুড়ি, বারুওনি, পাটলীপুত্র, মুঘল সারাই, এলাহাবাদ জংশন এবং কানপুর৷
আপাতত সূচনার দিন এই ট্রেনটিতে দুটি এসএলআর, তিনটি এসি থ্রি টায়ার, একটি এসি টু টায়ার এবং ৮টি স্লিপার কামরা সহ মোট ১৫টি কামরা নিয়ে যাত্রা শুরু করবে৷ তবে, এই ট্রেনটিতে কোন পেনট্রিকার নেই৷ পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক এ এস গারুর জানিয়েছেন, পরিকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে সূচনার দিন যে ট্রেনটি দেওয়া হয়েছে তাতে পেনট্রিকার রাখা সম্ভব হয়নি৷ দিল্লি থেকে যে ট্রেনটি আসবে তাতে পেনট্রিকার থাকতে পারে৷ ঐ ট্রেনটিতে কামরার সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ ৪৮ ঘন্টার ট্রেন যাত্রায় পেনট্রিকার ছাড়া যাত্রীদের নানা সমস্যা হবে সে কথা তিনি মেনে নিয়েছেন৷ তবে, আপাতত এই ট্রেনে পেনট্রিকার সুবিধা না থাকলেও এবিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রয়েছে রেলের৷
এদিকে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৩১ জুলাই রেল যাত্রার টিকিট ক্রয় করার কোন ব্যবস্থা করেনি রেলওয়ে৷ টিকিটের মূল্যও এখনো নির্ধারণ করা হয়নি৷ রেলওয়ে আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার থেকে টিকিট পাওয়া যাবে৷ যেহেতু আগে থেকে টিকিট ক্রয় করার ব্যবস্থা সম্ভব হয়নি সেক্ষেত্রে যাত্রীরা স্টেশনে এসে টিকিট ক্রয় করে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবেন৷ পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক আরো জানিয়েছেন, এই রেলে যাত্রী সাধারণের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সমস্ত রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা থাকলেও তা খুব শীঘ্রই কাটিয়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি দাবি করেন৷
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ৩১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আগরতলা রেলস্টেশনে গিয়েছিলেন৷ মঞ্চ থেকে শুরু করে অতিথি আপ্যায়ন এবং মানুষের বসার স্থান ইত্যাদি সমস্ত কিছু ঘুরে দেখেন তিনি৷ তার সাথে রাজ্যের মুখ্যসচিব যশপাল সিং, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক কে নাগরাজ, আইজি(আইনশৃঙ্খলা) এস চতুরবেদি, পরিবহনসচিব সমরজিৎ ভৌমিক, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের বিশেষ সচিব এম এল দে, পশ্চিমজেলার জেলাশাসক মিলিন্দ রামটেকে ও রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে দেখে পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন, ৩১ জুলাই আগরতলা থেকে থেকে দিল্লি যাত্রী রেলের সূচনা উপলক্ষ্যে আয়োজন জোর কদমে চলছে৷ অনুষ্ঠানকে সর্বাঙ্গীণ সফল করতে সমস্ত রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷