নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৬ জুলাই ৷৷ তেলিয়ামুড়া গ্রামীন হাসপাতালের আবাসনের এর ছাদ ভেঙে আহত এক মহিলা চিকিৎসক৷ আতঙ্কে রয়েছেন ঐ কমপ্লেক্স এ থাকা অন্যান্য চিকিৎসকরাও৷ ঘটনা মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা নাগাদ৷
জানা যায় তেলিয়ামুড়া গ্রামীন হাসপাতালের চিকিৎসকদের থাকার আবাসনটি তৈরী হয়েছিল আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে৷ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সংস্কারের এর ব্যাবস্থা করেনি দপ্তর৷ অথচ প্রতিবছর ই বিনিয়শনের অর্থ্যাৎ সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আসছে দপ্তর থেকে৷ আজ এই চিকিৎসকের বসত ঘর গুলিতে প্রতিনিয়ত আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে দিন কাটাচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ এরই মধ্যে এই কমপ্লেক্স এর দ্বিতল ভবনের ছাদের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে চিকিৎসক মালবিকা দাসের বিছানার উপর সহ সমস্ত ঘরে পরে৷ আহত হয় ডঃ মালবিকা দাস অল্পেতে বেছে যায় প্রান, যদি রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পরত তাহলে বড় বড় ছাদের টুকুরো উনার মাথায় বড় ধরনের আঘাত ঘটনাতে পারত৷ আচ পেয়ে বেড়িয়ে পরেন কক্ষ থেকে৷ ছাদ ভাঙ্গার শব্দ ও চিকিৎসক মালবিকা দাসের চিৎকারে পাশে রোমে থাকা মহিলা চিকিৎসক সঞ্জনা ঘোষ ছুটে আসেন৷ তিনি জানান, বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় মালবিকা৷ তবে কক্ষ গুলি তৈরীর পর আর সংস্কার হয় নি৷ তাই যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে এই বিল্ডিংটি৷ চিকিৎসক মালবিকা দাস ও আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে যায়৷ তিনি জানান বেশ কিছুদিন আগে ও বারান্দার কিছু অংশ ভেঙ্গে পরে৷ তবে যদি রাতে অন্ধকারে ছাদ ভেঙ্গে পরে তাহলে বড় মাপের দুর্ঘটনা হতে পারে৷ এই কমপ্লেক্সে থাকা আরো একজন মহিলা চিকিৎসক ডঃ মা-মুনি দেববর্মা জানান, ত্রিপুরাকে ভূমিকম্পের বিস্ক জুন বলে সরকার দাবী করেন৷ এই বিল্ডিং এর যে অবস্থা বিল্ডিং এর স্রচিরে পাটল ও বিভিন্ন গাছ পালা উঠে যাচ্ছে৷ বরই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি৷ তবে আজকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল৷