BRAKING NEWS

কাঁথা শিল্পকে উজ্জীবিত করতে দপ্তরের উদ্যোগ

Katha Stichingনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুলাই৷৷ কাঁথা সেলাই৷ এই কলা আজ এরাজ্যে অনেকটাই মৃতপ্রায়৷ কিন্তু এই কলার ভীষণ কদর রয়েছে সে কথা অনেকেই স্বীকার করেন৷ কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে এক শিল্প গড়ে তোলা যায় তাও মনে করেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা৷ ফলে, সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে হাতিপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জনাকয়েক গৃহিণীদের কাঁথা সেলাইয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়৷ দপ্তরের দাবি, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রায় কুড়িজন গৃহিণীকে কাঁথা সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷
নানান কায়দায় নকশা দিয়ে কাঁথা তৈরি করতে দেখা গেছে ঐ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে৷ প্রশিক্ষক নমিতা রায়ের বক্তব্য, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রত্যেক গৃহিণী এখন বিভিন্ন রকমের নকশা দিয়ে কাঁথা সেলাই করতে দক্ষতা অর্জন করেছেন৷ তবে, এই প্রশিক্ষণ তখনই সার্থক হবে যখন ঐ গৃহিণীদের স্বরোজগারি করে তুলতে রাজ্য সরকার হাত বাড়িয়ে দেবে৷ জনৈকা গৃহিণী জানিয়েছেন, কাঁথা সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া তাদের হয়ে গেছে৷ এখন তারা চাইছেন এই কাঁথা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে৷ এক্ষেত্রে সরকারি অনুদান বিশেষভাবে প্রয়োজন৷ দপ্তরের জনৈক আধিকারিকও মনে করেন, সরকারের আর্থিক সাহায্য ছাড়া কাঁথা সেলাইকে শিল্পে পরিণত করা সম্ভব নয়৷ তাঁর মতে, এই কাঁথা সেলাইয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হলে আগামীদিনে বৃহত্তর শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব হবে৷ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে নকশী কাঁথার দারুণ কদর রয়েছে৷ এর বাজারেও চাহিদা অনেক৷ ফলে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাঁথা সেলাইয়ে দক্ষতা আনাই যথেষ্ট নয়৷ এর বাজারজাতকরণ এবং চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের বিষয়ে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে৷ তবে, শুধু সরকার নয়, কর্পোরেট সংস্থাগুলিও এই কাজে সহায়তা করতে পারে৷ অবশ্য রাজ্য সরকার কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে সিএসআর মোতাবেক তাদেরকে যুক্ত করতে উদ্যোগ নিতে হবে৷ এক্ষেত্রে ওএনজিসি, গেইল, এনটিপিসি এধরনের সংস্থাগুলি কাঁথা সেলাইয়ের শিল্প বাড়াতে সাহায্য করা উচিত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *