নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুলাই৷৷ রাজ্যে যখন পেট্রোলের কালোবাজারী রমরমা চলছে তখন পুলিশ কিছুটা সাফল্য
পেয়েছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের আশ্রম চৌমুহনী এলাকায় একটি বুলেরো পিকআপ গাড়ি আটক করে ১৭৭৫ লিটার পেট্রোল বাজেয়াপ্ত করেছে৷ সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গাড়ির চালককে৷
সংবাদে প্রকাশ, টিআর-০১-০৮-১৬০১ নম্বরের গাড়িটি আশ্রম চৌমুহনী এলাকায় পৌঁছতেই সেখানে নাকায় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল গাড়িটিকে আটক করে৷ গাড়িতে বড় বড় ব্যারেলে এই পেট্রোল মজুত করা ছিল৷ সঙ্গে সঙ্গেই ঐ কনস্টেবল খবর দেয় আগরতলা পূর্ব থানায়৷ পূর্ব থানার ওসি, কলেজটিলা ফাঁড়ির ওসি এবং এসডিপিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িটি পূর্ব থানায় নিয়ে আসে৷ গাড়ির চালক প্রাণজিৎ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ উদ্ধার করা পেট্রোলের বাজারমূল্য এক লক্ষ টাকার বেশী৷ প্রাণজিৎ দাসকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে৷
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, খয়েরপুর এলাকার একটি পাম্প থেকে এই পেট্রোল মজুত করা হয়েছে৷ মজুতকৃত এই পেট্রোল দক্ষিণ জেলায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চালক গাড়ি নিয়ে রওয়ানা হয়৷ পুলিশ তদন্তের স্বার্থে ঐ পাম্পের নাম প্রকাশ করছেনা৷ তবে পাম্পের মালিককেও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷
প্রসঙ্গত, গত প্রায় দুই মাস যাবৎ রাজ্যে পেট্রোলের সংকট চলছে৷ এই সংকটের মধ্যেই চলছে কালোবাজারী৷ বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও মালিকরা পাম্প থেকে পেট্রোল সংগ্রহ করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে৷ আর এই কালোবাজারীর সাথে পাম্প কর্তৃপক্ষও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ এদিনের ঘটনা প্রমাণ করে যে এই অভিযোগ সত্যি৷ যদিও প্রশাসনের তরফে সম্প্রতি পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার খাদ্য দপ্তরের আধিকারীকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পেট্রোলের কালোবাজারী রুখতে কঠোর নজরদারী চালানো হবে৷ পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন পাম্পের সামনে নজরদারী বাড়ানো হয়৷ সেই মোতাবেক বিভিন্ন নাকা পয়েন্টেও যানবাহণে চেকিং করা হয়৷ আর তাতেই সাফল্য মিলেছে এদিন৷
এদিকে, যানবাহনের চালক ও মালিকদের অভিযোগে প্রতিটি পাম্প থেকেই পেট্রোল এবং ডিজেল পাচার হয়ে যাচ্ছে৷ আর তাতেই সংকট লেগে রয়েছে৷ প্রশাসনও কোনও ভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না৷ এই অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷ সদরের এসডিপিও জানিয়েছেন এই ধরণের নজরদারী অব্যাহত থাকবে৷