নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ জুন৷৷ সৌববিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে অন্তত ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার জলাঞ্জলি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ নতুন ও পুনঃনবীকরণ মন্ত্রক সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন অফিস কাছারিতে বুিদ্যতের জন্য রাজ্য সরকারকে অর্থ বরাদ্দ করেছিল৷ কিন্তু সেই সৌরশক্তির যন্ত্রগুলি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে৷ কোন বিদ্যুৎ সৌরশক্তির মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে না এবং রাজ্য সরকারের অফিস কাছারিতে ব্যবহারে আসছে না৷
সূত্রের খবর, ২০১৩-১৪ সালে নতুন ও পুনঃনবীকরণ মন্ত্রক রাজ্য সরকারকে রাজ্য সচিবালয়, সিটি সেন্টার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয় এবং উজ্জ্বয়ন্ত প্যালেস মার্কেটে সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে ৩০ লক্ষ টাকা করে মোট ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল৷ সে মোতাবেক সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঐ চারটি স্থানে সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি বসিয়েছিল৷ কিন্তু একটাতেও কোন ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি৷ বরং দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রপাতিগুলি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে৷ ফলে, সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সে বিদ্যুৎ সরকারি কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি৷ সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্মার্ট সিটির আওতায় পুনরায় সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অর্থ মঞ্জুর করবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ রাজ্য সরকার হাঁপানিয়াস্থিত বি আর আম্বেদকর হাসপাতালকে সোলার সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে৷ স্মার্ট সিটির আওতায় সে সোলার সিটির জন্য পুনরায় অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রশ্ণ উঠেছে, ইতিপূর্বে চারটি স্থানে সৌরশক্তি ব্যবহার করার জন্য অর্থ মঞ্জুর সত্ত্বেও তা কোন কাজে না লাগার পর, পুনরায় সোলার সিটির নাম করে যে অর্থ আসবে তার কতটা সদ্বব্যবহার হবে৷