কলকাতা, ২৭ মে৷৷ শপথ নিয়েই জাত চিনিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ দীপ্ত কন্ঠে জানালেন বিজেপিকে আটকাতে হবে৷ শুধু তাই নয়, উস্কে দিলেন ফেডারেল ফ্রন্টের জল্পনাও৷ রেড রোডে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এক ফ্রেমে দেখা গেছে মমতা, নীতীশ ও কেজরিওয়ালকে৷ পাশাপাশি ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব এবং ফারুক আব্দুল্লার মত বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃত্বরা৷ তাতে আবারও যে ফেডারেল ফ্রন্টের পথেই মমতার পথ চলা শুরু হতে চলেছে তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল৷ অবিজেপি, অকংগ্রেসি দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কাছে পেয়ে খুশি চেপে রাখতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ তিনি বলেন, সবাই এসেছে, আমি খুব খুশি৷ এটা মনে রাখব৷ ফলে, দ্বিতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্ব পেয়ে মমতা ব্যানার্জি যে এবার বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এক বিরাট মঞ্চ গড়ে তুলতে চলেছেন তা মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
এর পেছনে অবশ্য যুক্তিও রয়েছে৷ মমতা ব্যানার্জি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্টের কথা বলে আসছিলেন৷ সে লক্ষ্যে কখনো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আমন্ত্রণে দিল্লি গিয়েছেন৷ আবার নীতীশ কুমারের শপথে পাটনাতেও গেছেন৷ শুধু তাই নয়, পৌঁছে গিয়েছিলেন লালুর বাড়িতেও৷ তাতে আঞ্চলিক দলগুলির প্রধানদের নিয়ে মমতা ব্যানার্জি গোটা দেশে বিরাট অবিজেপি, অকংগ্রেসি মঞ্চ গড়ে তুলতে চাইছেন তা কারোরই অজানা নয়৷ ফলে, দ্বিতীয়বারের তৃণমূল সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক রাজনৈতিক প্রধানদের উপস্থিতি ফেডারেল ফ্রন্টেরই সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ কারণ, আঞ্চলিক প্রধানরা নিজেরাই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন৷ জাতীয় রাজনীতিতে বিকল্প জোটের প্রসঙ্গ উস্কে দিয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আব্দুল্লা বলেন, ফ্রন্ট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ এক ধাপ এগিয়ে ফ্রন্টের পক্ষে সুর চড়ালেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব৷ তিনি বলেন, আরএসএস বিজেপিকে রুখতে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির এক হওয়া খুবই জরুরি৷ ফলে, খুব শীঘ্রই সমভাবাপন্ন এবং ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি বসে বৈঠক করব৷ তাদের প্রত্যেকেরই দেশ থেকে বিজেপিকে হটানোই মূল লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে৷
অবশ্য তৃতীয় ফ্রন্টের জল্পনা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জেটলি বলেন, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আগেও মুখথুবড়ে পড়েছে ফেডারেল ফ্রন্ট৷ এটি পরীক্ষিত এবং বিফল চেষ্টা৷ পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, কোন দলের সঙ্গে কোন দলের বিরোধিতা থাকবেই৷ কিন্তু সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক সাংবিধানিক সেখানে কোন বিরোধ থাকতে পারে না৷ ফলে, কোন রাজনৈতিক রং না দেখে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে সব রকম সাহায্য করবে৷
2016-05-28
