শান্তি বজায় রাখতে রিয়াং শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা রাজ্য সরকারের

DSCN8674নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মে৷৷ নানা অসুবিধা সত্বেও কাঞ্চনপুরবাসী সহ গোটা রাজ্যই আপনাদের মেনে নিয়েছে৷ তা সত্বেও কেবল গুজবে কান দিয়ে হামলা হুজ্জুতির ঘটনা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না৷ মঙ্গলবার কাশীরামপাড়া সফরে গিয়ে রিয়াং শরণার্থীদের এক প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে একথা বলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী মানিক দে৷ মিজোরামে তাদের ঠাঁই হয়নি৷ তা সত্বেও এই রাজ্যে আশ্রয় পেয়ে রাজ্যবাসীর ওপরই আক্রমণ কোন ভাবেই বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার৷ রিয়াং শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি৷ সফরে গিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি রিয়াং শরণার্থীদের এক প্রতিনিধি দলের সাথে ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করেন৷ তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গুজবে কান দিয়ে এই ধরনের হামলা হুজ্জুতির ঘটনা উচিত হয়নি৷ যদি কোনও অভিযোগ থেকেই থাকত তবে, আইনের দ্বারস্থ হওয়া উচিত ছিল বলে রিয়াং শরণার্থীদের প্রতিনিধি দলকে বলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷ শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত হলেও সকলের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের৷ সেক্ষেত্রে আইনের শরণাপন্ন হওয়ার বদলে হামলা হুজ্জুতির মাধ্যমে এক অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে কাঞ্চনপুরবাসী সহ রাজ্যবাসী যেভাবে রিয়াং শরণার্থীদের আপন করে নিয়েছেন তাদের প্রতি চরম অমর্যাদা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷ কাশীরামপুর সফর সেরে আগরতলায় ফিরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রিয়াং শরণার্থীদের সতর্ক করে দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি৷ পাশাপাশি ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা সহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান৷
আজ পঞ্চায়েত মন্ত্রী মানিক দে ও বনমন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকসহ একটি প্রতিনিধি দল কাঞ্চনপুর মহকুমার কাশীরামপুর পরিদর্শনে যান৷ সেখানে ১৪টি পরিবার যাদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হয়েছে তাদের পরিবার পিছু ১০ হাজার টাকা এবং ৬টি পরিবার যাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে তাদের পরিবার পিছু ৫ হাজার টাকা করে সরকারি সাহায্যের ঘোষণা করা হয়৷ এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যেখানে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন সেখানে প্রশাসন থেকে কাপড়, বাসনপত্র, এবং খাদ্য সরবরাহ করা হয়৷ যাদের বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে সেগুলি দ্রুত সারাইয়ের জন্য মন্ত্রী মানিক দে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন৷ বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷