নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মে৷৷ চালু হল পাহাড় লাইন৷ রবিবার গভীর রাত থেকেই ট্রেন চলতে শুরু করেছে৷ ফলে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর লামডিং-শিলচর রুটে পুণরায় রেল পরিষেবা চালু করতে সক্ষম হয় পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে৷ আপাতত চালু হয়েছে দুটি ট্রেন৷ বাকি ট্রেনগুলিও দুয়েক দিনের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে আশাবাদী৷
পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারীক জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১১.৫৫ মিনিটে গুয়াহাটি-শিলচর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার যাত্রা করে শিলচরের উদ্দেশ্যে৷ যথারীতি সোমবার সকাল পাঁচটায় শিলচর থেকে ছেড়েছে ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি৷ আপাতত এই দুটি ট্রেন চালানো হচ্ছে৷ বাকি চারটি ট্রেন যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস’র আপ-ডাউন এবং পূর্বোত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস’র আপ-ডাউন ট্রেন পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী বাতিল রাখা হয়েছে৷ তবে, কর্তৃপক্ষের আশা দু-একদিনের মধ্যেই এই ট্রেনগুলি চালানো সম্ভব হবে৷
গত মঙ্গলবার নতুন করে চন্দ্রপুর ও জাটিঙ্গ রুটে ধস পড়ায় ওই রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রেল পরিষেবা৷ ঘন ঘন বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ওই অঞ্চলে রেল সড়কের ওপর ধব কিংবা ট্র্যাকের নীচের মাটি খসে যাওয়ায় বিপত্তির সৃষ্টি হয়৷
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল৷ উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল থেকে যাত্রী রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটা শুরু হয়৷ এরপর ২৭ এপ্রিল থেকে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল যাত্রী রেল পরিষেবা৷ ধারা বৃষ্টির দরুণ পাহাড় লাইনের ওই রুটের নানা জায়গায়, বিশেষ করে ফাইডিঙে রেল ট্র্যাকের নীচের মাটি খসে যাওয়া এবং ডিটেকছাড়া এলাকায় এতদিন ধস নামছিল৷ তাতে নতুন সংযোজন হয়েছিল চন্দ্রনাথপুর-জাটিঙ্গা এলাকা৷ প্রসঙ্গত, লামডিং-বদরপুর-শিলচর রেল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকায় জনসাধারণ বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন৷ স্বাভাবিকভাবে চিন্তার ত্রিপুরাবাসীর কপালেও৷ আগামী কিছদিনের মধ্যে আগরতলা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে ব্রডগেজে যাত্রী রেল পরিষেবা৷ তার আগে পাহাড় লাইনের মেরামতি সম্ভব না হলে সমস্ত আশা ধূলোয় মিশে যেত৷ কারণ, আগরতলা থেকে বদরপুর পর্যন্ত রেল চলাচলে কোন সমস্যা নেই৷ যত ভাবনা পাহাড় লাইনকে নিয়েই৷ পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের আধিকারীকদের মতে বর্ষা মরশুমে এই পাহাড় লাইন প্রতিবছরই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ তাতে বেশ কিছুদিন রেল চলাচল ব্যাহত হবে৷ তবে, রেল আধিকারীকরা এও জানিয়েছেন, এখন পাহাড় লাইনের মেরামতি হয়ে গেছে৷ আগামীদিনে যেকোন দূর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে৷
এদিকে, আগরতলা-শিলচর রুটে রেল নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দিচ্ছে৷ প্রতিদিন দু’দিক থেকেই প্রচুর যাত্রী আসা যাওয়া করছেন৷ আগরতলা স্টেশনের জনৈক আধিকারীক জানিয়েছেন, রেলের সবকটি কামড়া যাত্রীতে পূর্ণ থাকে৷ চুড়াইবাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের বহু যাত্রী থাকছেন ট্রেনটিতে৷ খোদ রেল কর্মীরাও স্বস্তি বোধ করছেন ট্রেন চালু হওয়ায়৷
2016-05-10

