BRAKING NEWS

রাজ্য কংগ্রেসে পদত্যাগের হিড়িক, প্রদেশ সভাপতির কুশপুত্তুলিকা দাহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মে৷৷ পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম দলের সাথে কংগ্রেসের নির্বাচনী আঁতাতের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্য

রবিবার  এক সাংবাদিক বৈঠক করে সদর জেলা কংগ্রেস সভাপতি সহ পদ থেকে  সরে দাঁড়ালেন আরো ২৫ জন নেতৃবৃন্দ৷
রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে সদর জেলা কংগ্রেস সভাপতি সহ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন আরো ২৫ জন নেতৃবৃন্দ৷

কংগ্রেসে ধস অব্যাহত রয়েছে৷ রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে সদর জেলা কংগ্রেস সভাপতি সহ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন আরো ২৫ জন নেতৃবৃন্দ৷
রাজ্য কংগ্রেসে সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগের হিড়িক চলছেই৷ এদিকে, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মণ সহ ১৪ জন কংগ্রেস নেতাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে উদয়পুরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন সুদীপপন্থীরা৷
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সাথে কংগ্রেসের নির্বাচনী আঁতাতের প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার সাংগঠনিক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সদর জেলা কংগ্রেসের ২৫ জন নেতৃত্ব৷ এদিন আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের সদর জেলা কমিটরি সভাপতি বলাই গোস্বামী এই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করে জানান এই জোট মানা যায় না৷ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা৷ কিন্তু এর ফলে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মণ যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী নেতৃত্বদের শনিবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়৷ পদত্যাগী সদর জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলাই গোস্বামী জানান, এই পদত্যাগ পত্র অনৈতিক কাজ এবং এআইসিসির এই সিদ্ধান্তকেও মানা যায় না৷ এই কারণেই তিনি সহ সদর জেলা কংগ্রেস কমিটির ২৫ জন নেতৃত্ব সাংগঠনিক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং দলীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে ফ্যাক্স যোগে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও বলাই গোস্বামী জানান৷ এ সাংবাদিক সম্মেলনে সদর জেলা কংগ্রেস কমিটির ২৫ জন নেতৃবৃন্দের সাথে ৬ আগরতলা, ৭ রামনগর এবং ১১ মান্দাই ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতিদ্বয় যথাক্রমে জয়ন্ত দাস, দীপাল চক্রবর্তী এবং সঞ্জত দাসও পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন৷ উল্লেখ্য, এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস -সিপিএম জোটের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস এবং প্রদেশ কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রায় এক হাজার নেতৃত্ব সাংগঠনিক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন৷
প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায় বর্মণ ও প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী সহ ১৪ জন কংগ্রেস নেতাকে দল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তে আগরতলার পর বর্মণপন্থীদের ক্ষোভের আগুন রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে৷ গোমতী জেলার উদয়পুরে বর্মণপন্থীরা আজ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ আজ দুপুরে জামতলীস্থিত জেলা কংগ্রেস ভবনের সামনে জড়ো হয়ে সুদীপপন্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ তারা সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার কুশপুতুল দাহ করেন৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মন্দির নগরীতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ সুদীপ বর্মণ গোষ্ঠীর অভিমত, সর্বভারতীয় কংগ্রেস ও প্রদেশ কংগ্রেস সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করেছে৷ এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিধায়ক প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত খুবই বেদনাদায়ক৷ সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রকৃত কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের বিশ্বাসে আঘাত করেছে৷ সে কারণেই প্রকৃত কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ পশ্চিমবঙ্গে যে আঁতাত হয়েছে তা এরাজ্যের কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা মেনে নিতে পারছেন না৷
সুদীপ রায় বর্মণ সহ কংগ্রেস নেতাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেবারও দাবি উঠেছে৷ তবে ইতিমধ্যেই দলীয় সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে গেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *