নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৮ মে৷৷ আধুনিক হচ্ছি আমরা৷ এযুগের মানুষ চাঁদে বাড়ি-ঘর নির্মানের স্বপ্ণ দেখছেন৷ নিত্যদিন নতুন নতুন গ্রহের সন্ধান মিলছে৷ মাঝে মাঝেই আমরা স্বপ্ণ বুনতে শুরু করে দিই এই বোধহয় মানুষের বাসযোগ্য আরও একটা পৃথিবীর ক্লোন মিলচে চলছে৷ কিন্তু না এমনটা আর হয়ে উঠছে না৷ ঠিক তেমনিভাবে দেশ জুরে বিএসএনএল পরিষেবার মান উন্নয়ন নিয়ে যখনই দেশবাসী বুকে আশা বাধেন তখনই হোঁচট খেতে হচ্ছে৷ ত্রিপুরা রাজ্য বাস্তব উদাহরন বহন করে চলছে৷ বিএসএনএল টেলি কোম্পানিটি রাজ্যের মানুষের সাথে চিঠ ফান্ডের থেকেও বড় প্রতারনা করছে৷ যদি এখন পর্যন্ত সেই হিসেবটা করা যায় তাহলে প্রতিশ্রুতির তুলনায় প্রতারনায় পরিমানটা আকাশ ছুঁবে নিশ্চই৷
বিএসএনএল-এর যত ছোট থেকে বড় ব্রডব্যন্ড প্ল্যান রয়েছে তাতে বিএসএনএল -এর দেওয়া হিসেবটাই যদি একবার মনযোগ দিয়ে চিন্তা করা যায় তবেই বেরিয়ে আসবে বিএসএনএল কতটুকু প্রতারনা করছে রাজ্যের ভোক্তাদের মাথে৷ সবচাইতে নীচের প্ল্যানটাই যদি ধরা যায় বিবি আনলিমিটেড প্ল্যান ৫০০৷ বিএসএনএল বলছে সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধির কারনে এই প্ল্যানের রেইটও বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬৫০ টাকা হয়েছে৷ মেনে নেওয়া যাক৷ এবার বিএসএনএল বলছে ৬৫০ টাকার আনলিমিটেড প্ল্যানে ৫১২ কেবি/এস স্পিড দেবে৷ কিন্ত তা দেওয়ার কথা থাকঢ়েও মিলছেনা ৫০ কেবি/এস স্পিডও৷ মানে ১০ গুন টাকা নিয়ে ১ ভাগ স্পিড৷ প্রতিশ্রুতি খেলাপ তো করছেই, পাশাপাশি দিনের পর দিন ভোক্তাদের সাথে এত বড় প্রতারনা করচে বিএসএনএল৷ এখন প্রয়োজন তখনই মিলছেনা ব্রডব্যান্ড কানেকশন৷ অপ্রয়োজনীয় সময়ে বসে বসে ভোক্তারা ব্রডব্যান্ড ইউজ করছেন তাই দেখিয়ে দেন বিএসএনএল কর্তারা৷ দেখিয়ে দেন ডাটা ইউজ তো হচ্ছেই৷ দিনে এত জিবি, মাসে এত জিবি ডাটা ইউজ হচ্ছে৷ কিন্তু কখন হচ্ছে? প্রয়োজনে নাকি অপ্রয়োজনে সেটা কিন্তু বিএসএনএল কর্তারা দেখতে রানি নন৷ যারা ব্যবসার জন্য ব্রডব্যান্ড কানেকশন নিয়েছেন তারা ভোরবেসা কিংবা রাত ১১টায় পর কি ব্রডব্যান্ড ইউজ করলেই হবে? প্রশ্ণ ব্রডব্যান্ড ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের৷
ইদানিং যখন সাবমেরিন ক্যাবেল বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হবার পর বেশ ঘটা করে প্রচার করা হল যে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা দেশের মধ্যে তৃতীয় ইন্টারনেট গেইউওয়ে হল, রাজ্যবাসী ফের একবার আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন৷ কিন্তু তারপর কি হল সবটা প্রকাশ্যেই চলছে৷ বিএসএনএল এনজিএন পরিষেবা নিয়ে কত বড় বড় কথা বলল৷ প্রচার করা হল এখন থেকে ল্যান্ড ফোনেই স্মার্ট ফোনের সব সুবিধা মিলবে৷ প্রচার করা হল বাংলাদেশ থেকে ১- গিগাবাইট আসছে আর কোন চিন্তা নেই৷ এবার হাল শুধরাবে৷ কিন্তু কই তখন তো কেউ বললনা যে বিএসএনএল -এর সব যন্ত্রপাতি মান্ধাতা আমলের৷ যেই নাকি কানেকশন হল, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী,সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে এর সূচনা করলেন তারপর থেকেই শুরু হল নানাই গুঞ্জন৷ ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে শুরু করল বিএসএনএস-এর যত্তসব গোলমাল৷ ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে বিএসএনএল-এর আধিকারিকদের সাতে বৈঠক করতে বললেন৷ পরিমান ৩ মাস সময় চেয়েছে বিএসএনএল৷
কিন্ত এর মধ্যেই সারা রাজ্যে পিএসএনএল-এর পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ খোয়াইতে আরও বেশী করুন অবস্থা৷ মৃত পয়া স্বপ্ণের থ্রি জি পরিষেবা৷ ভারতের বাইরের কথা ছেড়ে দেওয়া হলেও ভারতেই যেখানেএখন ফোর জি চালু আছে সেখানে ত্রিপুরা রাজ্যে থ্রি জি পরিষেবা দেওয়া তো দূরের কথা, টু জি’র অবস্থাই তথৈবচ৷ খোয়াইতে এমনিতেই থ্রি জি পরিষেবা সর্বত্র মিলেনা৷ খোয়াই পর এলাকার বাইরে গেলে টু জি পরিষেবাই মুখ থুবরে পড়ে৷ কল ড্রপের কথা নতুন কিছু নয়৷ খোয়াইয়ের বাইরে কলই করা যায়না৷ এখ মিনিট কথা বলতেই ফোন স্তব্ধ হয়ে পড়ে৷ দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এমনটাইতো হচ্ছে৷ কথ বলতে বলতে লাইন কেটে যাচ্ছে৷ এছাড়া স্মার্ট ফোনে এখন সকলের হাতে হাতে৷ থ্রি জি প্যাক এত টাকা খরচ করে ঢুকিয়ে পরিষেবাই যখন পাচ্ছেন না ভোক্তারা তখন কি বিএসএনএল সেই টাকা ফেরত দেবে? কই দেবেনা তো, তাহলে কি চিটফান্ডের মতো প্রতারনার সামিল নয় বিষয়টি৷
2016-05-09

