নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, কৈলাসহর, ৪ এপ্রিল৷৷ কাল বৈশাখীর ঝড়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে৷ রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ শালবাগান এলাকায় ভোর রাতের ঝড় তুফানে কয়েকটি গাছ মূল সড়কের উপর ভেঙ্গে পড়ে৷ এর ফলে সকাল থেকে ঐ সড়কে যান চলাচল স্তব্দ হয়ে পড়ে৷ আধা সেনা বাহিনীর জওয়ানরা গাছগুলি কেটে রাস্তা পরিস্কার করেন৷ এরপরই যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়৷ গাছ পড়ে রাস্তা অবরোধ হয়ে থাকায় বেশ কয়েকঘন্টা এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা থেকেও ঝড় বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির খবর মিলেছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরে মাঝরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত বৃষ্টিতে শহরের নিম্নাঞ্চল জলমগ্ণ হয়ে যায়৷ শকুন্তলা রোড সহ বিভিন্ন রাস্তা জলের নীচে তলিয়ে যায়৷ দোকানপাটেও জল উঠে পড়ে৷ তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়ে পড়ে৷ শকুন্তলা রোড জলমগ্ণ হয়ে থাকায় চৈত্রের বাজারে রিডাকশন সেল লাটে উঠে৷ ব্যবসায়ীরা রিডাকশন সেলে পসারি নিয়ে এসেছিলেন তারা বিমুখ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন৷ তাদের অভিমত বৃষ্টির দরুন শকুন্তলা রোড জলমগ্ণ হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ এই ক্ষতি পূরণ করা কষ্টকর হবে৷ গত কয়েক বছর ধরে শকুন্তলা রোডে রিডাকশন মার্কেট বসছে৷ এর আগে শিশু উদ্যানে রিডাকশন মার্কেট বস৷ তাতে তেমন কোন অসুবিধা হত না৷ শিশু উদ্যান থেকে রিডাকশন মার্কেট তুলে দেওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে ব্যবসায়ীরা৷ শহরের অন্য কোন স্থানে দোকান খুলে বসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না৷ তাতে চৈত্রের বাজারে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন৷ রাজ্যের অন্যান্য স্থান থেকেও ঝড় তুফানে জীবন যাত্রা বিঘ্নিত হওয়ার খবর মিলেছে৷ বিভিন্ন নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে, তবে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি৷ অবিরাম বৃষ্টি হলে বন্যা অবধারিত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এদিকে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে আগামী চবিবশ ঘন্টায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি ও কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ স্বাভাবিক কারণে যেকোন সময় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে৷
এদিকে, গত রাত্র থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কৈলাসহরে মনু নদীর জল বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে বইছে৷ প্রশাসনের তরফে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ সে মোতাবেক নেওয়া হয়েছে সমস্ত রকমের প্রস্তুতিও৷ শহরের সমস্ত বাজার অর্ধেক জলের তলে৷ বিদ্যুতও নেই বহু এলাকায়৷ এদিকে, গত রাতে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে বহু এলাকা৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রচুর৷
2016-04-05

