BRAKING NEWS

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র থেকে অপহরণ, মুক্তিপণের টাকা নিতে এসে পুলিশের জালে দুই অপহরণকারী

TRIPURA POLICEনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মার্চ৷৷ রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলী এলাকা ছিনতাইকারী, আপহরণকারী, তোলাবাজ ও সমাজদ্রোহীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের প্রাণকেন্দ্র কামান চৌমুহনী থেকে বুধবার এক উপজাতি যুবককে একটি অটো রিক্সা করে অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ ঐ উপজাতি যুবকের নাম মানিক দেববর্মা৷ তার বাড়ি সিমনার কাতলামারা এলাকায়৷ সে পেশায় গাড়ি চালক৷ ওষুধ কেনার জন্য কামান চৌমুহনীতে এসেছিল৷ ওষুধের দোকান থেকে বের হতেই দুই যুবক একটি অটো রিক্সা নিয়ে এসে তার সামনে দাঁড়ায়৷ তাকে অটোতে তুলে অপহরণ করে ডিমসাগর এলাকায় নিয়ে যায়৷ সেখানকার একটি বাড়ির পেছনে নিয়ে তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করে অপহরণকারীরা৷ তার কাছে এত টাকা ছিল না৷ মানিক দেববর্মার স্ত্রী স্নিগ্দা দেববর্মা গোর্খাবস্তিতে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরে কর্মরত৷ অপহরণকারীরা মানিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে স্ত্রীর কাছে ফোন করতে নির্দেশ দেয়৷ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্যও বলা হয়৷ স্বামীর অসহায় কন্ঠ শুনে নির্ধারিত স্থানে ছুটে আসেন স্নিগ্দা৷ তার কাছে এত টাকা ছিল না৷ আবারও ফিরে যান অফিসে৷ এক নিকটআত্মীয়ের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং তার কাছে মজুত ৫ হাজার টাকা অর্থাৎ মোট ১০ হাজার টাকা অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেন স্নিগ্দা দেববর্মা৷ তাতেও তাদের খাই মেটেনি৷ তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন রেখে দেয় তারা৷ পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার টাকা মিটিয়ে দিয়ে মোবাইল ফোন ফেরত পাওয়ার কথা বলেছিল অপহরণকারীরা৷ বিষয়টি মানিক দেববর্মা ও তার স্ত্রী স্নিগ্দা দেববর্মা আগরতলা পশ্চিম থানায় জানান৷ পুলিশও সে অনুযায়ী সাদা পোষাকে বৃহস্পতিবার ডিমসাগর এলাকা কর্ডন করে রাখে৷ বেলা দশটা নাগাদ মানিক দেববর্মা অপহরণকারীদের ফোন করে টাকা নিয়ে যেতে বলে৷ সে অনুযায়ী অপহরণের সময় ব্যবহৃত অটো রিক্সাটি নিয়ে আসে তারা৷ উত্তর গেইটের ট্রাফিক পোস্ট সংলগ্ণ এলাকায় মানিক দেববর্মা যখন টাকা অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল তখনই ছক অনুযায়ী সাদা পোষাকের পুলিশ তাদের মধ্যে দু’জনকে ধরে ফেলে৷ তারা হল লিচু বাগান এলাকার অভি দাস ওরফে বাপ্পা এবং দূর্জয়নগরের রনি দেবনাথ৷ রনি পেশায় অটো চালক৷ অপহরণের দিনও তার অটোটিই ব্যবহার করেছিল অপহরণকারীরা৷ অটোটির নম্বর টিআর-০১-টি৩৫৯৪৷ অটোটিও আটক করেছে পুলিশ৷ অপর অপহরণকারী খেজুরবাগান এলাকার মহম্মদ সহরব পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ আটক দু’জনকে  পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে৷ এব্যাপারে মামলা গৃহিত হয়েছে৷ খোদ রাজধানী আগরতলা শহরে এধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *